আয়নাল হক
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
দেশের নদনদীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের ও উচ্চ আদালতের কড়া নিদের্শনা থাকলেও কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় এক শ্রেণীর বালু ব্যবসায়ী চক্র ড্রেজার ও বলগেট দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। বিধিবাম, বালু উত্তোলন বন্ধ করে প্রশাসন, চালু হয় প্রভাবশালীদের নির্দেশনায়। এ নিয়েই চলছে বালু উত্তোলনে লুকোচুরি। এ অবৈধ ড্রেজার ও বলগেটের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধ ও ব্রম্মপুত্র নদের সর্বনাশা ভাঙ্গন থেকে উত্তর ফলুয়ারচর গোয়ালেরচর পূর্বাংশের নৌকাঘাটসহ ঘাটের উত্তর পাশ এলাকার বসতবাড়ী, ফসলী জমি রক্ষার দাবীতে উত্তর ফলুয়ারচর ও গোয়ালেরচর এলাকাবাসীর উদ্দ্যেগে এক বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে ফলুয়ারচর এলাকা থেকে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধনটি উপজেলা চত্তরে এসে মিলিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, নুর আলম হিরো, ফজলুল হক, নদী ভাঙ্গন রোধ কমিটির সভাপতি সাইজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, জোব্বার হোসেন, শিল্পী বেগম, জহুরা খাতুন, তৈয়ব আলী, হযরত আলী, সামছুল আলমসহ অনেকেই।
বক্তব্যে বক্তাগণ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ফলুয়ারচর ঘাটে অবৈধভাবে বালু ব্যবসায়ীদের মধ্যে জরিত চক্রটি কুটিরচর গ্রামের জিয়াউর রহমান ও কবির খান গ্রুপ, নুর আলম খান হিরো, ফারুক মিয়াসহ প্রভাবশালি মহলের যোগসাজসে এ বালু উত্তোলন করছেন বলে বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন। ব্রহ্ম্নপুত্র নদের ফলুয়ারচর ফেরিঘাটে প্রতিদিন বলগেট দ্বারা বালু এনে ড্রেজার মেশিন দিয়ে আনলোড করা হচ্ছে। উত্তোলনকৃত বালু মাটি উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করে বিক্রয় করছে। ট্রাক্টর চলাচলের কারনে রাস্তা গুলি ভেঙ্গে যায়। অন্যদিকে মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় জমজমাট ভাবে বালু ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর ফলে ভাঙ্গছে নদী ঘরবাড়ি জমিজিরাত। ক্ষতি হচ্ছে এলাকার হতদরিদ্র পরিবার গুলি। বক্তব্য শেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খানের বরাবরে একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন।
তারা বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং নদী ভাঙ্গন রোধের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে বরাদ্দ চেয়ে কথা বলা হবে।