রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
রৌমারীতে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর নতুন কমিটি দেওয়ার একদিন পর তাহা স্থগিত করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা শাখা কর্তৃক রৌমারী উপজেলা শাখার ৩১ সদস্যের কমিটি অনুৃমোদনের জন্য রৌমারী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্জ আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু কতৃক স্বাক্ষরিত ৩১ সদস্যের কমিটি কুড়িগ্রাম জেলা আহবায়ক ও সদস্য সচিব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস কুড়িগ্রাম জেলা শাখা বরাবর ১০ডিসেম্বর ২০২৪ ইং অনুৃমোদনের জন্য প্রেরণ করেন। কমিটিটি জাকি মোঃ আহসান হাবীব আহবায়ক ও নুরুজ্জামান বাহাদুর সদস্য সচীব জাসাস কুড়িগ্রাম জেলা শাখা কতৃক ১৮ডিসেম্বর ২০২৪ অনুমোদিত হয়। কমিটিতে দেখাগেছে আহবায়ক আতিকুর রহমান সুমন,সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হারুনর রশিদ সাকিল তৎকালীন আওয়ামী সরকারের শাসনামলে শেখ মজিবুর রহমানের মুড়ালে ফুলের তোড়া দিচ্ছে। যুগ্ন আহবায়ক আবুল কালাম ও আব্দুল হামিদকে সাবেক এমপি পলাশের সাথে একই ফ্রেমে দেখাগেছে। সবমিলে দলের মধ্যে বিগত ফেসিস্টদের আনাগোনা ও অনুপ্রবেশ সুক্ষ কারচুপির মধ্যদিয়ে হচ্ছে বলে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিদের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন অভিযোগের তীর যখন কুড়িগ্রাম জাসাস এর আহবায়ক ও সদস্য সচিবের দিকে যাচ্ছিলো ঠিক তখনই একদিন পর জেলা আহবায়ক ও সদস্য সচিব এর স্বাক্ষরিত কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এনিয়ে এলাকায় দলীয় সদস্যদের মধ্যে আনন্দ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তবে দলীয় নেতাকর্মিদের মাঝে চুলছেড়া বিশ্লেষণ চলছে। দলের দুঃসময়ে যারা বিগত সরকারের ছত্রছায়ায় নিজেদের সুখ স্বাচ্ছন্দে বিলাসি জীবন যাপন করেছে তারাই আজ ফেসিস্টের পতনে বিএনপির পতাকা তলে আশ্রয় নিতে মরিয়া। রৌমারী মানচিত্রের দিক হতে ছোট্র একটি ভুখন্ড হওয়ায় অতিসহজে স্বল্প সংখ্যক মানুষের সাথে দলবাজি পথচলা সকলের দৃষ্টির মধ্যে রয়েছে। যাহা লুকোচুড়ির সুযোগ নেই। কি করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদক বিগত সরকার সমর্থিত ব্যাক্তিদের দলে ভিড়িয়ে নিচ্ছে তাহা বোধগম্যের বাইরে । দলের মধ্যে গুজন উঠেছে তাহলেকি আত্নীয় করণ নাকি স্বজনপ্রীতি।
এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা শাখার জাসাস আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব নুরুজ্জামান বাহাদুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ভাই আমি ব্যাস্ত আছি। কি কারণে কমিটি স্থগিত করা হলো জানতে চাইলে জানান দুই একদিন পরে জানাবো।
কুড়িগ্রাম জেলা শাখা জাসাসের আহবায়ক জাকি মো: আহসান হাবীব সজীব এর ফোনে একাধীকবার কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এনিয়ে রৌমারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্জ আজিজুর রহমান বলেন ,এবিষয় আমি সকলকে চিনিনা। তবে সেক্রেটারীর কথামত আমি স্বাক্ষর করেছি। এমন যদি হয়ে থাকে তাহা ঠিক হয়নি।