রৌমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা :
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে জোরপুর্বক পদত্যাগ করার অভিযোগ রৌমারীর যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের ছাত্রদের বিরুদ্ধে। গত ৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বেলা ২ টায় ওই কলেজে নতুন শিক্ষার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। পরে গর্ভনিং বডির সভাপতি চাপের মুখে সহকারী অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ার কথা বলাহয়।
অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, ওইদিন এইচএসসি’র নতুন শিক্ষার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে নতুন ও দ্বিতীয় বর্ষের প্রায় এক থেকে দেড় শত শিক্ষার্থীরা আচমকায় কলেজে ঢুকে পড়ে এবং অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। পরে আমার হাতে একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে পড়তে দেয় ও তাতে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি ভয়ে তাতে স্বাক্ষর করি। সেটা ছিল আমার পদত্যাগের কাগজ।
শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ২০০২ সালের ২৩ জানুয়ারি যাদুরচর ডিগ্রি কলেজে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, জালিয়াতি, প্রতারণা, ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা ও অসৌজন্যমূলক আচর করে আসছেন। এছাড়াও বেতন ছাড়াই দায়িত্বে ৭ বছর অভিযুক্ত অধ্যক্ষ। এ নিয়ে আদালতে প্রায় ৬টি পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে। শিক্ষক প্রতিনিধি, অধ্যক্ষ ও সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে বিরোধ থাকায় কলেজটিতে শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই আমরা তার পদত্যাগ চেয়েছি।
এবিষয়ে গর্ভনিং বডির সভাপতি প্রভাষক সবুজ মিয়া বলেন, আমি ফোনে জানতে পেলাম শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষকের কাছে পদত্যাগ করার কাগজে সহি নেন। এ নিয়ে কলেজে হৈচৈ হয়। আমাকে ফোন করলে আমি রৌমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজে আসতে বলি। পড়ে তাদের চাপের মুখে শফিকুল ইসলামকে সাময়ীক দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।