লাখাই উপজেলা প্রতিনিধি
লাখাই উপজেলার করাব রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ২০২২-২৩ অর্থ বছরের পিবিজিএসইডি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দের অর্থে প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় মাদ্রাসায় শৌচাগার নির্মাণ, ছাত্রীদের জন্য কমনরুম, বিশুদ্ধ পানির টিউবওয়েল স্থাপন, লাইব্রেরির জন্য বই কেনা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ছিল। তবে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, মাদ্রাসায় শৌচাগার, টিউবওয়েল বা কমনরুমের কোনো চিহ্ন নেই।
মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলামের কাছে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এবিষয়ে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বাহার মেম্বার বলেন, “পুরনো কয়েকটি বেঞ্চ রং করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কোন কাজ হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে মাদ্রাসার সুপার এবং আব্বাস মৌলভী এই দুর্নীতিতে জড়িত বলে মনে হয়। ( তার বক্তব্যের রেকর্ড সংরক্ষিত আছে )।
এবিষয়ে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দুলাল আহমেদ বলেন, “প্রকল্পের টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ( তার বক্তব্যের রেকর্ড সংরক্ষিত আছে )।
অপর সাবেক সদস্য ফাইজুল ইসলাম জানান, “মাদ্রাসায় এমন প্রকল্প এসেছে, এটি আমি জানতাম না। এই টাকা কীভাবে ব্যয় হয়েছে তাও আমি জানি না। ঘটনাটি পরে জানতে পেরেছি।” (তার বক্তব্যের রেকর্ড সংরক্ষিত আছে)।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের সঠিক বাস্তবায়ন এবং বরাদ্দকৃত অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহারের বিষয়ে যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।