লাখাই উপজেলা প্রতিনিধি
লাখাইয়ে ৫ বছরের শিশুকে অপহরণের ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন গ্রেফতারকৃত আসামী মাওলানা মোঃ শফিকুল ইসলাম(৩৭)।
৯ নভেম্বর রোজ শনিবার বিকালে বিজ্ঞ আদালতে ৫ বছরের শিশু মোজাম্মিল মিয়া কে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবী এবং বিকাশে টাকা নেওয়ার বিষয়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন আসামী মাওলানা মোঃ শফিকুল ইসলাম।
এর আগে বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারা জবানবন্দি প্রদান করেন অপহরণ মামলার ভিকটিম মোজাম্মিল মিয়া।
আসামীর স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি ও ভিকটিমের ২২ ধারা জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অপহরণ মামলার আইও শৈলেশ চন্দ্র দাস।
উল্লেখ্য যে, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল হক মুন্সীর দিকনির্দেশনায় ও লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বন্দে আলীর নির্দেশে লাখাই থানার পুলিশের এসআই শৈলেশ চন্দ্র দাস ও এএসআই আনোয়ারুল হক সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিলেট সদর থানার পুলিশের সহায়তায় সিলেট সদর থানাধীন বাথখলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি হোটেল থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩ টায় অপহৃত মোজাম্মিলন মিয়া (৫) কে আসামীর কাছ থেকে উদ্ধার করে আসামীকে আটক করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাখাই উপজেলার ৬নং বুল্লা ইউনিয়নের পূর্ব বুল্লা গ্রামের আল আমীন এর বাড়ীতে আত্মীয়তার সুত্রে বি-বাড়ীয়া জেলার বিজয় নগর উপজেলার সাটিরপাড় গ্রামের বর্তমানে লাখাই উপজেলার লখনাউক গ্রামের মৃত মোঃ রজব আলীর ছেলে মাওলানা মোঃ শফিকুল ইসলাম বেড়াতে আসেন এবং গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আল আমীনের ছেলে মোজাম্মিল মিয়া (৫) কে বুল্লা বাজারে পোশাক কিনে দেয়ার নাম করে মুজাম্মিল কে বাড়ী থেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অনেক সময় পার হয়ে যাওয়ার পর মুজাম্মিল কে নিয়ে আসামী
মাওলানা মোঃ শফিকুল ইসলাম না আসায় আল আমীনের পিতা আব্দুস শহিদ গত বৃহস্পতিবার রাতে লাখাই থানায় একটি জিডি করেন এবং তিনি জানান আসামী মাওলানা শফিকুল ইসলাম আমাদের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লাখ টাকা দাবী করেন,এরই মাঝে আসামীর বিকাশ নাম্বারে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও আরও টাকা দাবী করেন আসামী।
লিখিত জিডি পাওয়ার পর এসআই শৈলেশ চন্দ্র দাসের নের্তৃত্বে তদন্তে নামেন লাখাই থানার একটি চৌকস পুলিশ টিম।