লাখাই উপজেলা প্রতিনিধিঃ
লাখাইয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ব্যবহৃত লক্ষাধিক টাকা মূল্যের আইপিএস এর ২ টি ব্যাটারী সহ মেশিন রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের আইপিএস সেট রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে গেছে।
১১ আগস্ট রবিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয় গুলো তালা বন্ধ।
এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে কর্মরত রাসেল আহমেদ জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আমি অফিসে আসিনি। আজ রবিবার অফিসে এসে জানতে পারলাম অফিসের আইপিএস খোয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার দেওয়া পোস্টের বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল আহমেদ বলেন আমার ফেইসবুক পোস্টে আমি বিগত দুই বছর পূর্বে উপজেলা চেয়ারম্যানের সিএ মোহন দাস যে পুরাতন আইপিএস সেট নিয়ে গিয়েছিল সেটি সম্পর্কে উল্লেখ করেছি। নতুনটি নিয়ে কিছু উল্লেখ করিনি।তবে যেহেতু আগের আইপিএস মোহন দাস নিয়েছে নতুন টাও নিতে পারেন।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে কর্মরত আক্কাস মিয়া বলেন আমি ৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার অফিসে এসে দেখলাম আমাদের অফিসের আইপিএস সেট নেই। আমি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা স্যার কে অবগত করি।তিনি বিষয়টি অবগত হয়ে অফিসের চাবি তাঁর নিকট হস্তান্তর করতে বলেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে কোন প্রকার হামলা ভাংচুর এর ঘটনা ঘটেছি কিনা জানতে চাইলে আক্কাস মিয়া জানান আন্দোলন চলাকালীন সময়ে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ও অফিসের বাহিরে কিছুটা ভাংচুর হলেও পরিষদের সকল প্রবেশ পথ তালাবদ্ধ থাকায় ভিতরে কেউ প্রবেশ করতে পারেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে কর্মরত ষাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মোহন দাসের সাথে আলাপকালে তিনি জানান আমি অফিসে আইপিএস সেট চুরির বিষয়টি আক্কাস মিয়ার মাধ্যমে জেনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ মুশফিউল আলম আজাদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। পুরাতন আইপিএস সেট নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি কোন আইপিএস সেট নেই নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বলেন আমার জানা মতে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে উপজেলা পরিষদের দোতলায় কোন হামলা ভাংচুর এর ঘটনা ঘটেনি।তারপরও কিভাবে আইপিএস সেট খোয়া গেছে তা খতিয়ে দেখা হবে।