জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের উলা গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত অধিপত্যে বিস্তারকে কেন্দ্র করে সহংসিতায় রুপ নিচ্ছে রাজনৈতিক কন্দোলে।
সোমবার সরোজমিন ঘুরে জানাগেছে ওই গ্রামে ২ গ্রুপে সামাজিক দ্বন্দ্ব বিরজমান রয়েছে। একগ্রুপের নেতৃত্ব দেন ওহিদ মেম্বার অন্যগ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তবি মোল্যা ও মোস্তফা কামাল। গ্রাম্য সামাজিক দল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। সেখানে কোন রাজনৈতিক মেরুকরণ হয় না। ওই গ্রামে ২ টি পক্ষ, নেতৃত্ব দেন এক পক্ষের নেতা ওহিদ মেম্বার ও আরেক পক্ষের নেতা মোঃ তবিবর মোল্যা ও মোস্তফা কামাল।
ওহিদ মোল্যার লোকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রামে মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে আসছে।আমাদের পাশের গ্রাম বয়রা,তাদের সাথেও সামাজিক দল আছে। আমাদের এন্ট্রি পক্ষের নেতা তবি ও মোস্তফা বয়রা গ্রাম থেকে লোকজন এনে আমাদের ওপর হামলা করে বাড়ি ঘর ভাংচুরসহ লুটপাট করছে।
অপরদিকে মোস্তফা কামালে সাথে কথা হলে তিনি বলেন অধিপত্যে বিস্তার নিয়ে এ বেশকিছু দিন যাবত ঘটনা ঘটে আসছে।এ কোন রাজনৈতিক কোন্দল নয়। ইতিপূর্বে ওহিদ মেম্বারের লোকজন আমাদের দলের লোকজনকে কুপিয়ে আহত করেছে তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এঘটনায় লোহাগড়া থানায় ২ টি মামলা হয়েছে।
উলা গ্রামের একপক্ষের নেতা ওহিদ মেম্বার সাথে যোগাযোগ করে মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।ওহিদ মেম্বারর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নাই।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ৫ নং লক্ষীপাশা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোঃতবিবর মোল্যা বলেন আমার গ্রামে বিএনপির কোন অফিস ভাংচুর হয় নাই।আমি সভাপতি আমি জানিনা বিএনপির অফিস ভাংচুর হয়েছে এটাতো হতে পারে না। গ্রামে থমথমে পরিবেশ বিরাজমান। আমাদের দলের নীরিহ প্রকৃতির। প্রতিপক্ষ আমার দলের প্রতি যে অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যা। সেই কারনে একটি কুচক্রী মহল দেশের বড় রাজনৈতিক দলকে পুজি করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
লক্ষীপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম পারভেজের সাথে কথা হলে তিনি বলেন গ্রামের অধিপত্যে বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা। কোন রাজনৈতিক সংঘর্ষ না।
এঘটনায় লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন এলাকায় শান্তির লক্ষ্যে পুলিশ মোতায়ন আছে। স্থানীয় নেতারা শান্তির লক্ষ্যে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।