লোহাগড়া, প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শামুকখোলা গ্রামের সালমান খন্দকার হত্যাকান্ডে গ্রামের নিরীহ মানুষদের আসামী করার প্রতিবাদে ও সঠিক তদন্তের দাবিসহ প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় মানিকগঞ্জ বাজারে এ মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মামলার আসামী কাজী আব্দুল আলিম, মামলার আসামী স্থানীয় মেম্বর সৈয়দ নবাব আলী, সৈয়দ লেলিন আলী, কাজী জুয়েল রানা, মোসাম্মৎ কনা বেগম, কাজী ওহিদুর রহমান, কাজী সাদিকুন্নাহার সাদিয়া, মাহমুদা খানম প্রমুখ।
মানববন্ধনে ভূক্তভোগীরা বলেন, আমরা নিরীহ মানুষ। কেউ দিন মজুর, কেউ কৃষিকাজ করে, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাকুরীজীবী। অথচ গ্রাম্য শত্রুতার কারনে বাদী পক্ষ আমাদের আসামী করে হয়রানি করছে। আমাদের অনেকেই ঘটনার দিন বা রাতে জেলার বাহিরে চাকুরীতে ছিলেন অথচ তারা আসামী হয়েছে। আসামীদের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট করা হচ্ছে। গরু, ছাগল, আসবাবপত্র নিয়ে যাচ্ছে। চাদা দাবি করছে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে। ভূক্তভোগী আসামীদের পরিবারের সদস্যরা বাদী পক্ষের লোকদের অব্যাহত হুমকিতে স্কুল, কলেজে যেতে পারছে না।
আমরা সালমান খন্দকার হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত ও প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই। গ্রামের নিরীহ যেসব মানুষদের অযথা আসামী করে হয়রানি করা হচ্ছে তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হোক। গোয়েন্দা সংস্থা হত্যাকান্ডের তদন্ত করলে প্রকৃত দোষীরা বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ মে রাতে শামুকখোলা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অজ্ঞাতরা কুপিয়ে খাজা খন্দকারের ছেলে সালমান খন্দকারকে হত্যা করে স্থানীয় ইট ভাটার কাছে রেখে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই খন্দকার নাহিদ হাসান বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করে ১১ মে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৮।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, নিরীহ নির্দোষ কেউ আসামী থাকলে তদন্তে সে মুক্তি পাবে। ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।