নড়াইল জেলা প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখার চর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে জখম করেছে পুলিশ কর্মকর্তা কাজী ইমরান আহম্মেদ(৪৭) কে। বুধবার(৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার পর আহত পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষের লোকজন একটি বাড়ি ও একটি রাইচ মিলঘরের মালামাল ভাংচুর করেছে। ভাংচুরে বাঁধা দেয়ায় ওই বাড়ির মহিলাদের মারপিট ও গালিগালাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন ওই আহত পুলিশ কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়ার পাংখার চর গ্রামের নজীর কাজীর ছেলে পুলিশের এস,আই কাজী ইমরান আহম্মেদ বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার ডিএসবি কোটালীপাড়া থানা যোনে ডিআইও পদে কর্মরত রয়েছেন।
আহত পুলিশ কর্মকর্তার ভাবি পাংখার চর গ্রামের টিপু সুলতানের স্ত্রী সাফিয়া বেগম জানান, চাকুরীস্থল থেকে বুধবার রাতে তিনি প্রাইভেটকার যোগে নিজ গ্রামের বাড়ি পাংখার চরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। প্রথমে লংকারচর গ্রামে ঢুকেই বন্ধু জিয়া চৌধুরীর বাড়িতে দাওয়াত খান। বৃষ্টিতে রাস্তা কাঁদা হওয়ায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা সেখান থেকে বন্ধু জিয়ার মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দক্ষিণ পাংখার চর কাজীপাড়া পাঁকা রাস্তার মাথা(বটতলা) পৌঁছিয়ে দেখেন ১৫/২০ জন গ্রামের লোক দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলছেন। পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে নেমে সবার সাথে কুশল বিনিময় করতে চেষ্টা করেন। এসময় হঠাৎ লংকারচর গ্রামের জনৈক রয়েল পুলিশ কর্মকর্তাকে গালিগালাজ শুরু করে। এরপর সজিব, রুবেল সহ ১৫/২০ জনে পুলিশ কর্মকর্তার উপর হামলা চালায়। দূর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারসহ গ্রামের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
লংকার চর গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য রুবেল সরদারের স্ত্রী ফাতেমা অভিযোগ করেন, গ্রাম্য শত্রুতার কারনে আমাদের অযথা দোষ দেয়া হচ্ছে। আমার স্বামী মারামারি বা হামলার সময় গ্রামে ছিলেন না। অথচ আমাদের বাড়িসহ রাইচ মিল ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। আমাকে মারপিটসহ গালিগালাজ করা হয়েছে। রবিউল সরদারের স্ত্রী রিকতা বেগম জানান, বাড়ি ও মিলঘর ভাংচুরের পর দূর্বৃত্তরা আমাদের তিনটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় লুট হওয়া গরু ফিরে পেয়েছি। ওই আহত পুলিশ কর্মকর্তার লোকজন আমাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। পুনরায় বাড়ি ভাংচুরসহ স্বর্ণালংকার, টাকা, আসবাবপত্র, গরু, মোটরসাইকেল লুট করে নেবার চেষ্টা চালাচ্ছে। বাড়ির নারী ও শিশুরা সকলেই আতংকে রয়েছে।
ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত লোহাগড়া থানার এস,আই সুজিত জানান, এলাকায় সর্বদা পুলিশ টহল দিচ্ছে। হামলা, সংঘর্ষ, লুটপাট করলে তাকে আইনের আওতায় নেয়া হবে। শান্তি বিনষ্ট করা যাবে না। এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। পুলিশ দোষীদের আটকের চেষ্টা করছে।