আব্দুল গাফফার শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে ওরস মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।সেই সঙ্গে এলাকায় চরম উত্তেজনা তৈরী হয়েছে যা যে কোন সময় ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রুপ নিতে পারে বলেও আশংকা দেখা দিয়েছে।উপজেলার শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকার টোলা গ্রামে অবস্থিত হয়রত শাহ বন্দেগী( রহ:) এর বার্ষিক ওরস মাহফিলকে ঘীরে এই পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। এদিকে মাজার,মসজিদ ও ঈদগাহ পরিচালনা কমিটিকে উপেক্ষা করে এবং না জানিয়ে ওরস মাহফিলের আয়োজন করায় তা বন্ধে কমিটির পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খন্দকার টোলা গ্রামের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কতিপয় দোসর সংবদ্ধ হয়ে হযরত শাহ বন্দেগী( রহ:)মাজার, মসজিদ ও ঈদগাহ পরিচালনা কমিটিকে উপেক্ষা করে ওরস মাহফিল আয়োজনের পায়তারা চালাচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় ওরস মাহফিলের প্রচারপত্রও বিতরণ শুরু করেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে মাজার পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানান।এ নিয়ে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়াই চরম উত্তেজনা তৈরী হয়েছে।যা যে কোন উভয়পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রুপ নিতে পারে। তাই ওরস মাহফিলটি বন্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরদাবি জানানো হয়।
মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জানে আলম খোকা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান,ওরস মাহফিলের নামে ইসলাম বিরোধী যে কোন কর্মকান্ড রুখে দিতে কমিটির পাশাপাশি স্থানীয় তৌহিদী জনতা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন।যেকোন মূল্যে এটি প্রতিহত করা হবে।আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ওরস মাহফিলের নামে অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রায় তিন শতাধিক মানুষের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশিক খান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন,ওরসের নামে যেকোন অসামাজিক কর্মকান্ড কেউ চালাতে পারবে না। এজন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ওরস মাহফিলকে ঘিরে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা তৈরী করতে না পারে এজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।