মশিউর মিলন, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফলে মসজিদ কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে দ্বদ্ধের জেরে আপন দুই ভাইসহ স্থানীয় মুসল্লিদের নামে চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন করেছেন ওই মসজিদের মুসল্লিরা। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জুমা নামাজ শেষে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভরিপাশা গ্রামে হাজী কোরবান আলী জামে মসজিদের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মিথ্যা হয়রানি মুলক মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহারের দাবি করে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাসিন্দা ও ওই মসজিদের মুসল্লি মো. গিয়াস উদ্দিন, খলিল খান, আল-আমিন, সাইদুল, আফজাল হাওলাদার, মনির আলম, ফিরোজ আলম ও মহিরুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, ঢাকার দোহারের সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনির আলম ২০১৫ সাল থেকে মসজিদের সভাপতির পদে রয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মসজিদ উন্নয়নে অনুদানের কথা বলে কয়েকজন মুসল্লির স্বাক্ষর নেন কালিশুরী ডিগ্রী কলেজের চাকরিচ্যুত অধ্যক্ষ মো. মাহবুব আলম। এনিয়ে মাহবুব আলমের সাথে মুসল্লিদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির জের ধরে ৮জুন পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আলম, তার (বাদীর) আপন দুই ভাই মনির আলম ও মহিরুল ইসলামসহ ৫জনের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন। মামলার অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনার দিন আসামিরা এলাকায় ছিলেন না। তবুও তাদের আসামি করা হয়েছে। আদালত বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এর আগে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ সরেজমিন তদন্তে সত্যতা না পাওয়ায় মামলা রুজু করেনি। আদালতে সাতধারা মামলা করলে বিচারক তা খারিজ করেন দেন।
এদিকে চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে স্থানীয় ও মুসল্লিদের মানববন্ধনে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেন মাহবুব আলম ও তার সহযোগী দুলাল হাওলাদার। এসময় তিনি মানববন্ধনে অংশ নেয়া সংবাদ সংগ্রহে থাকা কালবেলার সংবাদকর্মী মশিউর মিলনকে মামলার হুমকি দেন। কালবেলা সংবাদকর্মী তখন ফেসবুক লাইভে ছিলেন।
এবিষয়ে মাহবুব আলমের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।