মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ :
বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের পর সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন,বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং মন্দিরে ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন মন্দির কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ও সাধারণ হিন্দু শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মানববন্ধনটি করা হয়।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধনে বক্তারা ৮ দফা দাবি পেশ করেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাবিগুলো হলো-
১)গত কয়েকদিনে দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের উপর লুটপাট ও ভাঙচুর এবং নির্যাতনের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত-পূর্বক দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা।
২)নিরীহ সংখ্যালঘু ব্যবসায় ও জনসাধারণকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
৩)সীমান্ত সংলগ্ন যে সকল অঞ্চলের মানুষের ঘরবাড়ি ছেড়ে সীমান্তে চলে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাদের উপযুক্ত নিরাপত্তা ও সম্মানের সহিত নিজ ঘরে ফিরে আনতে হবে,প্রয়োজনে সরকারি উদ্যোগে তাদের গৃহ নির্মাণ ও পুনর্বাসন করতে হবে।
৪)হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে পূর্ণাঙ্গ রূপে হিন্দু ফাউন্ডেশন হিসেবে নিবন্ধন এবং তার সামগ্রিক কর্ম পরিষদ ও অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করে কোন প্রকার দলীয় লিয়াজু ভিত্তিক ব্যক্তি ব্যতীত নিরপেক্ষ ও সনাতনীদের প্রকৃত শুভচিন্তক ব্যক্তিদের দ্বারা পুনর্গঠন করতে হবে
৫)সরকারের সকল পর্যায়ে সংখ্যালঘুদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৬)বিদ্যমান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ন্যায় পৃথক, স্বতন্ত্র জাতীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন,যা সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, নির্যাতনের ঘটনাগুলো নথিবন্ধ করে আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তা পূর্বক ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সাহায্য করবে ও সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,ধর্মীয় স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান এবং আক্রমণের ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে,পরিস্থিতি পূর্ণরূপে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।
৭)বিশেষ সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিশেষ গুরুত্বের সাথে সংখ্যালঘুদের মন্দির ঘরবাড়ি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর লুটপাটের দ্রুততম সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ করতে হবে।
৮)সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব নির্বিঘ্নে যথাবিহীন পালন হওয়ার ব্যাপারে উপযুক্ত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।মানববন্ধনে লক্ষীনারায়ণ মন্দির কর্তৃপক্ষের সহযোগী সৌরভ বলেন-এই লড়াই শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লড়াই নয়,এই লড়াই হলো সকলের স্বাধীনতার লড়াই।আমাদের দাবি হলো সনাতন ধর্মী অর্থাৎ সংখ্যালঘুদের জন্য পার্লামেন্টে একটি জায়গা তৈরি করা হয়,যারা সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করবে।সংখ্যালঘুদের উপর যারা হামলা করছে তাদের বিচার করবে এবং অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।