মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের ডাসারে পানি নিষ্কাশনের সরকারি খালের জায়গা অবৈধভাবে ভরাট ও দখল করে পাঁকা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ ওঠে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বেলায়েত হোসেন ও সৈয়দ শাহ আলমসহ একাধিক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে । এনিয়ে গত শুক্রবার দৈনিক জাতীয় দিনকাল সহ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা সহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে সরকারি খালের জায়গা ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ,প্রশাসনের রহস্যেজনক ভুমিকা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ সংবাদ প্রকাশের জেরে নিজের অপরাধ ঢাকতে আজ(৩০ মার্চ) রোববার বিকেলে অপরাধ ঢাকতে ডাসার উপজেলার পাথুরিয়ারপাড় নামক স্থানে সংবাদ সম্মেলন করেন ঠিকাদার সৈয়দ শাহ আলম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদার সৈয়দ শাহআলম, প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবী করেন। তাকে হয়রানির অভিযোগ তুলেন কিছু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
এসময় তিনি যারা যারা নিউজ প্রকাশ করেছেন ওই সমস্ত প্রতিবেদকদের উল্লেখ করে বলেন আমার কাছে টাকা দাবি করেন। আমি না দেয়ায় মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করেন।
আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিব।
সাংবাদিক সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চেয়ে ঠিকাদার সৈয়দ শাহআলমের মুঠোফোনে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
সরজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,ডাসার উপজেলার ৩৩ নং ধামূসা মৌজার ১ খতিয়ানে বিআরএস ৭২১ নং দাগে সরকারি খাল খাস খতিয়ানভুক্ত রয়েছে। খালের প্রবাহিত পানি দিয়েই কয়েক শত একর জমিতে কৃষক ফসল ফলাতো।পর্যায়ক্রমে সেই খালের জায়গাটি ভরাট করে দখল করেন,স্থানীয় প্রভাবশালী সৈয়দ শাহ আলম ও ডাসার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ বেলায়েত হোসেন পুরোপুরি বন্ধ করে একাধিক সেমি পাকা দোকানসহ নির্মাণ করছেন বহুতল ভবন।
এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সরকারি সার্ভেয়ার সরজমিনে গিয়ে নকশা দিয়ে পরিমাপ করে দেখতে পান সরকারি খাল ভরাট এবং দখল করে নির্মাণ করছেন পাকা ভবন।এসময় বাজার কমিটি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সম্মুখে সৈয়দ শাহ আলম কে সরকারি খালের জায়গায় কাজ করা যাবে না বলে নিষেধ করেন, সার্ভেয়ার তৎকালীন সার্ভেয়ার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
তৎকালীন ডাসার উপজেলা ইউএনও গোলাম মাসুম প্রধান ও সার্ভেয়ার বদলি হওয়ার দুই মাস যেতে না পুনরায় কাজ শুরু করেন ঠিকাদার সৈয়দ শাহআলম। কখনো রাতে কখনো বন্ধের দিনে কাজ চলমান রাখেন।গত ২৬ মার্চ বন্ধের দিনে তিনি সরকারি খালের জায়গার অংশের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।বিষয়টি জানাজানি হলে,বেশ কিছু গণমাধ্যম পুনরায় সংবাদ প্রাকাশ করেন।
সংবাদ প্রকাশ হলে, ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ-উল আরেফীন উপজেলা ভুমি সার্ভেয়ার মো.সামচুল আলমকে বিষয়টি সরজমিনে দেখার জন্য পাঠান।
এবিষয়ে ডাসার উপজেলা ভুমি সার্ভেয়ার বলেন,আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে কাজ করতে নিষেধ করি এবং কাগজ নিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে দেখা করার অনুরোধ করি। তিনি যে নিষেধ অমান্য করে অবৈধভাবে আবারও কাজ করছে এটা আমার জানা নেই।
ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ আরেফীন বলেন,এখনতো সরকারি ছুটি চলিতেছে, অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী ছুটি থেকে আসলে, বিষয়টি আমাদের সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে নকশা দিয়ে পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করবো।