মুহাম্মাদ আনিসুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের চাষীরা এ বছর সরিষা আবাদে আশাতীত সাফল্য দেখিয়েছে । জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব শামিনুর রহমানের বরাতে জানা যায়, এ বছর ( ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে) জেলার ৯ টি উপজেলার মোট ৮৫,১৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল এ রবি শস্যটি আবাদের আওতায় আনা হয় এবং মোট ১,৩২,৮৬৫ মেঃ টন ফসল উৎপাদিত হয় । এর মধ্যে কাজিপুর উপজেলায় ৩৬৮ হেক্টর, উল্লাপাড়ায় ১২০ হেক্টর, বেলকুচিতে ৭৭০ হেক্টর, ও চৌহালীতে ২১৫ হেক্টর- মোট ১,৪৭৩ হেক্টর জমিতে বারি- ৯ জাতের সরিষা আবাদ করা হয় । এতে গড়ে হেক্টর প্রতি ১.৫৪ মেঃ টন হিসেবে মোট উৎপাদিত হয় ২,২৭৪.৯ মে টন । সদর উপজেলায় ৩,৭৩৭ হেক্টর, কাজিপুরে ২,৫২১ হেক্টর, রায়গঞ্জে ৭,৭৯২ হেক্টর, তাড়াশে ৫,৬১৯ হেক্টর, উল্লাপাড়ায় ১২,৫০০ হেক্টর, শাহজাদপুরে ৯,১১০ হেক্টর, বেলকুচিতে ২,৩৯৬ হেক্টর, কামারখন্দে ২,৩৪১ হেক্টর ও চৌহালীতে ১,০০০ হেক্টর- মোট ৪৭,০১৬ হেক্টর জমিতে বারি-১৪ সরিষা আবাদ করা হয় এবং এর গড়ে হেক্টর প্রতি ফলন হয় ১.৫৬ মেঃ টন হিসেবে মোট ৭৩,৫৩৮ মে টন । বারি-১৫ জাতের সরিষা আবাদ করা হয় ৬ টি উপজেলায় । এর মধ্যে কাজিপুরে ৬০ হেক্টর, রায়গঞ্জে ৫ হেক্টর, উল্লাপাড়ায় ৯০০ হেক্টর, শাহজাদপুরে ২০ হেক্টর, বেলকুচিতে ৩৫ হেক্টর, ও কামারখন্দে ৬৫ হেক্টর- মোট ১,০৮৫ হেক্টর জমি । এতে হেক্টর প্রতি গড়ে উৎপাদিত হয় ১.৫৬ মেঃ টন হিসেবে মোট ১,৬৯১.৯ মে টন । বারি-১৭ আবাদ করা হয় জেলার সব ক’টি উপজেলায় । এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২,৯৫৫ হেক্টর, কাজিপুরে ৬৮ হেক্টর, রায়গঞ্জে ১,৬৮৫ হেক্টর, তাড়াশে ২,২৭৩ হেক্টর, উল্লাপাড়ায় ৯৫০ হেক্টর, শাহজাদপুরে ১,১২০ হেক্টর, বেলকুচিতে ৮৮০ হেক্টর, কামারখন্দে ৮১৩ হেক্টর ও চৌহালীতে ২২৫ হেক্টর- মোট ১০,৯৬৯ হেক্টর জমি । এতে হেক্টর প্রতি গড়ে উৎপাদিত হয় ১.৫৭ মেঃ টন হিসেবে মোট ১৭,২০৫ মে টন শস্য । সদর উপজেলায় ৫০ হেক্টর, কাজিপুরে ৫ হেক্টর, রায়গঞ্জে ৩ হেক্টর, তাড়াশে ২২ হেক্টর, উল্লাপাড়ায় ১২০ হেক্টর, বেলকুচিতে ৫ হেক্টর – মোট ২০৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয় বারি-১৮ জাতের সরিষা এবং এতে হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন হয় ১.৬৪ মেঃ টন হিসেবে মোট ৩৩৫.৪৬ মে টন । বারি-৪ আবাদ করা হয় ৭ টি উপজেলার ৩৫৩ হেক্টর জমিতে যার মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলায় ২৫ হেক্টর, কাজিপুরে ১৯৬ হেক্টর, রায়গঞ্জে ১৫ হেক্টর, তাড়াশে ৫৭ হেক্টর, উল্লাপাড়ায় ১৫ হেক্টর, বেলকুচিতে ২০ হেক্টর ও কামারখন্দে ২৫ হেক্টর জমি যার গড় উৎপাদন হয় ১.৫৬ মেঃ টন এবং মোট উৎপাদনের পরিমান ৫৫১.২৬ মেঃ টন ফসল । বিনা সরিষা -৯ আবাদ করা হয় মোট ৯৬৯ হেক্টর জমিতে যার মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলায় ৯৫ হেক্টর, কাজিপুরে ২৪ হেক্টর, রায়গঞ্জে ৪৯৫ হেক্টর, তাড়াশে ১৩৩ হেক্টর, উল্লাপাড়ায় ৯৫ হেক্টর, শাহজাদপুরে ৭০ হেক্টর ,বেলকুচিতে ২৩ হেক্টর, কামারখন্দে ২৯ হেক্টর ও চৌহালীতে ৫ হেক্টর ভূমি । এ জাতের সরিষাটির গড় উৎপাদন হয় ১.৫৪ মেঃ টন হিসেবে মোট ১,৪৯২ মেঃ টন । এদিকে বিনা সরিষা-১১ আবাদ করা হয় মোট ৯২ হেক্টর জমিতে যার মধ্যে রয়েছে কাজিপুরে ৮ হেক্টর, রায়গঞ্জে ৫ হেক্টর, তাড়াশে ২১ হেক্টর, উল্লাপাড়ায় ৩০ হেক্টর, বেলকুচিতে ১৫ হেক্টর ও কামারখন্দে ১৩ হেক্টর – মোট ৯২ জমি । এতে গড়ে ১.৫৩ মেঃ টন হিসেবে মোট উৎপাদিত হয় ১৪০.৮৫ মেঃ টন । আবার কেবল উল্লাপাড়ায় ‘সম্পদ’ নামে জাতটির আবাদ হয় ৬৫ হেক্টর জমিতে যার গড় উৎপাদন ১.৪৮ মেঃ টন হিসেবে মোট ৯৬.২ মেঃ টন । এস এস-৭৫ জাতের সরিষার আবাদ হয় দু’টি উপজেলার ৩,৪২০ হেক্টর জমিতে যার মধ্যে রয়েছে উল্লাপাড়ায় ১,৮০০ হেক্টর, ও শাহজাদপুরের ১,৬২০ হেক্টর – মোট ৩,৪২০ হেক্টর এবং এ জাতটির গড় উৎপাদন ১.৬০ মেঃ টন হিসেবে মোট ৫,৪৬৩ মেঃ টন । অন্যদিকে সদর উপজেলায় ৭৩৫ হেক্টর, কাজিপুরে ৬০০ হেক্টর, রায়গঞ্জে ৮৯০ হেক্টর, তাড়াশে ২,১৮৭ হেক্টর, উল্লাপাড়ায় ৭,০১০ হেক্টর, শাহজাদপুরে ২,৪৯০ হেক্টর, বেলকুচিতে ৩,৫৬১ হেক্টর, কামারখন্দে ২৫০ হেক্টর ও চৌহালীতে ৭৩০ হেক্টর- মোট ১৮,৪৫৩ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয় টরি-৭ জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা যার গড় উৎপাদন ১.৫৪ মেঃ টন হিসেবে মোট ২৮,৪৬৩ মেঃ টন হয় । রাই-৫ জাতের সরিষার চায় হয় ১,০৪০ হেক্টর জমিতে যার মধ্যে শাহজাদপুরে ৬৩০ হেক্টর ও চৌহালীতে ৪১০ হেক্টর জমি রয়েছে । এ জাতটির গড় উৎপাদন হেক্টর প্রতি ১.৫১ মেঃ টন হিসেবে ১,৫৬৬.৬ মেঃ টন । আবার মাত্র দু’টি উপজেলায় চায় করা হয় বিএডিসি সরিষা-১ । সদর উপজেলার ২০ হেক্টর ও উল্লাপাড়া উপজেলার ১০ হেক্টর জমিতে এ জাতটির উৎপাদন গড়ে ১.৫৬ মেঃ টন হিসেবে মোট ৪৬.৮ মেঃ টন । চৌকস উপ পরিচালক জনাব বাবলু কুমার সূত্রধরের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও ইউনিয়ন পর্যায়ের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শে এ অভুতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মত দেন প্রান্তিক পর্যায়ের বেশ কিছু কৃষক সহ অভিজ্ঞ মহল ।