আবু সাঈদ মোঃ মোরছালিন (রোমেন)
বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি।
সাবেক সংসদ সদস্য ডঃ আকরাম হোসেন চৌধুরীর জানাযায় ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দল মত নির্বিশেষে হাজার হাজার লোকে পরিপূর্ণ ছিল চাকরাইল রিজওয়ান মাঠ।
৪৮, নওগাঁ-৩ বদলগাছী-মহাদেবপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও নওগাঁর কমিউনিটি রেডিও বরেন্দ্র রেডিও ৯৯.২এফ.এম এর প্রতিষ্ঠাতা ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। জানা যায়, সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১টায় নওগাঁ শহরের উকিল পাড়ার নিজ বাসায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। পরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। ড. আকরাম হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী মায়া চৌধুরী জানান, বাসার বাথরুমে তিনি স্ট্রোক করে পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ড. আকরাম হোসেন চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারি আলাল হোসাইন জানান, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে নওগাঁ শহরে মরহুমের ১ম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ী বদলগাছী উপজেলার নিজ গ্রাম চাকরাইলে নেওয়া হয়। মরহুমের লাশ গ্রামের বাড়ি পৌঁছার পর এক হৃদয়বিদারক ও আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা চাকরাইল রিজওয়ান মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মরহুমের লাশ এক নজর দেখার জন্য এবং জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষে রিজওয়ান মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
এদিকে আকরাম হোসেন চৌধুরীর জানাযায় উপস্থিত থেকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন উক্ত আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী (সৌরেন) এবং সাবেক সচিব ও বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এনামুল কবির সহ শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বদলগাছী উপজেলা আওয়ামীলীগ পরিবার ও বিভিন্ন শ্রেণীর নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ডঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী নওগাঁ-৩ (বদলগাছী- মহাদেবপুর) আসনে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে পরাজিত হলে ২০১৫ সালে তাকে রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দান করা হয়েছিল। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাধারণ জনগণের মাঝে নিয়মিত গণসংযোগ করে চলছিলেন।