মিজানুর রহমান
নগরকান্দা – সালথা ( ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের সালথায় পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদী ( সর্জনকান্দা) গ্রামের রফিক বিশ্বাস এর ছেলে মোঃ নাঈম বিশ্বাস (২০) কে পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে ২ লাখ টাকা নেয় ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত উপজেলার বেতাল গ্রামের মধু মাতুব্বর (৬৫) ও তার ছেলে জয়নাল ওরফে আতাউল। ৮ লাখ টাকার চুক্তিতে গত ২৩ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে নগদ ২ লাখ টাকা অগ্রিম নেয়।অভিযোগকারী নাঈম বিশ্বাস এর অভিযোগের ৩ নং অভিযুক্ত আসামী ওহিদুজ্জামান(৫০)পিতা- খালেক মাতুব্বর ইউনিয়ন – পুরাপাড়া থানা – নগরকান্দা সম্পর্কে তালই এর মাধ্যমে চাকরির টাকার চুড়ান্ত হলে জয়নাল ওরফে আতাউল ও তার পিতা মধু মাতুব্বর বিষ্ণুদি গ্রামের আজিজল ফকির এর বাড়িতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে নগদ ২ লাখ টাকা দেয় এবং বাকি ৬ লাখ টাকা চাকরি হলে দিলেই হবে। বিবাদীর্ ২ লাখ টাকা গুনিয়া হাতে বুঝিয়া পেয়ে পুলিশ নিয়োগের মাঠের জন্য তৈরি হতে বলে।চাকরির মাঠে নাঈমের চাকরি না হওয়ায় তাদের কাছে টাকা ফেরৎ চাইলে টাকা আজ কাল করে টাকা ফেরৎ না দেওয়ায় নগরকান্দা থানায় একটি অভিযোগ করেন। এলাকায় একাধিকবার শালিস দরবার হলে ১০ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও টাকা ফেরত না পাওয়ায় নাঈম বিশ্বাস বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় অভিযোগ করেন। নাঈম বিশ্বাস বলেন
নগরকান্দা থানার এস আই আজিজ বলেন আদালতে মামলা করতে, অভিযোগ করার পর এখনো আদালতে মামলা করিনি। নাঈম আরও বলেন ভুয়া কাগজপত্র ও আইডি কার্ডে নাম পরিবর্তন করে জয়নাল ওরফে আতাউল ফায়ার সার্ভিসে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে চাকরি করছেন।৩ নং অভিযুক্তকারী ওহিদুজ্জামান বলেন মধু মাতুব্বর এর বড় ছেলে হাসিবুল হাসান লিটন পুলিশে চাকরি করে ও তার ভাই জয়নাল ওরফে আতাউল ফায়ার সার্ভিসে চাকরি করে তারা নাঈম বিশ্বাসকে পুলিশের চাকরি পাইয়ে দিবে বলে নগদ ২ লাখ টাকা নেয়,অভিযোগ করার পর ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং বাকী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আজও ফেরত দেয়নি।এবিষয় ফায়ার সার্ভিসে চাকরিরত জয়নাল ওরফে আতাউল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন টাকা ফেরত দিয়ে দিছি,পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ার কথা বলতেই ফোনের লাইন কেটে দেন। মধু মাতুব্বর এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। পুলিশের চাকরিতে কর্মরত হাসিবুল হাসান লিটন এর ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। আদালতে মামলা করবেন বলে ভুক্তভোগী নাঈম বিশ্বাস বলেন।