মোঃ আরফাতুল ইসলাম (সানি) কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়াই চকরিয়া জনতা শপিং সেন্টার এনসিপির পথসভায় মঞ্চ ভাংচুর করেছেন বিএনপি।
১৯ জুলাই কক্সবাজারে এক সমাবেশে এনসিপির নেতা নাছির উদ্দীন পাটোয়ারী সালাউদ্দিন আহমেদ কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে চকরিয়া পথসভা মঞ্চে হামলা ও চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক এর নেতৃত্বে এক চকরিয়া রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন উপজেলা বিএনপি।
এসময় বিক্ষোভ মিছিল উপস্থিত চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম আব্দুর রহিম,চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন,
পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম নুরুল আমিন কমিশনার,ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিএনপি আহবায়ক আলহাজ্ব কুতুবউদ্দিন,উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, আজ দুপুরে কক্সবাজার শহরে এক সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেন। এটি বিএনপির নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। এই বক্তব্যের পর চকরিয়াসহ কক্সবাজার জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করেন। বিকেল চারটা থেকে চকরিয়ায় মহাসড়কে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিছিল শুরু হয়। তারা সালাহউদ্দিনের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী কক্সবাজারের সমাবেশে বলেন, ‘আগে নারায়ণগঞ্জে বিখ্যাত গডফাদার শামীম ওসমান ছিল। এখন শুনছি কক্সবাজারের নব্য গডফাদার শিলং থেকে এসেছে। ঘের দখল করছে, মানুষের জায়গা-জমি দখল করছে। চাঁদাবাজি করছে। আবার নাকি সে সংস্কার বুঝে না। নাম না বললাম। কক্সবাজারের জনতা এ ধরনের সংস্কারবিরোধী, যে পিআর বোঝে না রাজপথে তাদের দেখিয়ে দিবে ইনশা আল্লাহ।’ এরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, দুপুর থেকে এনসিপির পক্ষে মঞ্চ তৈরি করে মাইকিং করা হচ্ছিল। হঠাৎ বিকেল পৌনে চারটার দিকে কিছু লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মঞ্চে হামলা করেন। এনসিপির মাইকিং করা লোকজনকে তাড়িয়ে দেন।
এনসিপির নেতা-কর্মীরা বলেন, আজ বিকেল পৌনে চারটার দিকে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা চকরিয়া জনতা শপিং সেন্টার চত্বরে বানানো ট্রাক মঞ্চটি ভেঙে ফেলেন। এ সময় সমাবেশের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন ও ট্রাকের কাচ ভাঙচুর করেন। তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনী সমাবেশস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়।