মোঃ তুষার আহমেদ:
সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ার বোয়ালিয়া পোস্ট অফিসের কার্যক্রম অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে চলছে ভাঙাচোরা দোকানে। অথচ অফিসটির নামে ৫ শতাংশ জায়গা রয়েছে। তবুও হয়নি নিজস্ব ভবন। উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বাজারে এ অফিসের কার্যক্রম চলছে। পোস্ট মাস্টার এর সাথে কাজ করেন একজন করে ডাকপিয়ন ও রানার।
জানা গেছে, আমিনুল হকের ওষুধের দোকানে ১৩ বছর ধরে পোস্ট অফিসের কাজ চলছে। তিনি একজন পল্লি চিকিৎসক। স্থানীয় বাসিন্দারাও চিঠিপত্র পাঠানোসহ ডাক বিভাগের সব ধরনের সেবা নিতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন, ১৩টি গ্রাম এ পোস্ট অফিসের অধীনে রয়েছে।
পোস্টমাস্টার কে এম আমিনুল হক জানান, তিনি ১৩ বছর ধরে ভাঙাচোরা ওষুধের দোকানে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পোস্ট অফিসটি এক্সট্রা ডিপার্টমেন্টাল (ইডি)। বড়হর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হাসান নান্নুর বাবা এন্তাজ আলী প্রায় ৩০ বছর আগে বোয়ালিয়া বাজারে ৫ শতাংশ জায়গা অফিসের জন্য দান করেন। জমির কাগজসহ এলাকাবাসী ভবন নির্মাণের জন্য পাবনার ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলের (ডিপিএমজি) কাছে আবেদন করেছেন। তবে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
ইডি পোস্ট অফিসের বিষয়ে আমিনুল হক জানান, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ডাকসেবা নিশ্চিতে এসব ডাকঘরে ব্রিটিশ আমল থেকে কার্যক্রম চলছে। এতে নিয়োগ দেয় ডাক বিভাগ। পোস্টমাস্টার ৪ হাজার ৪শ রানার ৪ হাজার ২শ ও ডাকপিয়ন ৪ হাজার টাকা সম্মানী পান। তিন পদেই অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে ডাকঘরের মতোই নানান কাজ এখানে হয়।
বড়হর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হাসান নান্নু বলেন, তাঁর বাবা জমি দান করলেও ডাক বিভাগ এখনও ভবন নির্মাণ করেনি।
ডাক বিভাগের পাবনা অঞ্চলের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) আনোয়ার হোসেন তিনি বলেন, যে সব ইডি পোস্ট অফিসের নিজস্ব জমি রয়েছে, সেগুলোর ভবন নির্মাণে তালিকা করা হচ্ছে। এতে বোয়ালিয়ার নাম আছে।