নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির জন্য নিয়োগ দেওয়া আবুল হাশেম নামের এক ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
১৫ টাকা কেজি দরের চাল হতদরিদ্র মানুষের কাছে বিক্রি না করে তা আত্মসাতের অভিযোগে সলঙ্গা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন চাল তদারকি কর্মকর্তা রায়গঞ্জ উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ সহকারী সঞ্জিত কুমার রায়। ওই ডিলার ধুবিল ইউনিয়নের তালতলা অঞ্চলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির দায়িত্বে ছিলেন। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনে।
তিনি বলেন, দুপুরের দিকে ডিলার আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে এক তদারকি কর্মকর্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন।
হতদরিদ্র ভুক্তভোগী চান বিবি ও রমজান আলীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক কার্ডধারী অভিযোগ করে বলেন, সরকার ৩০ কেজি করে দু’মাসের দুই বস্তা (৬০) কেজি চাল একসঙ্গে দিয়েছে । কিন্তু ডিলার আমাদের এক বস্তা দিয়ে পরে দেখা করতে বলে। অথচ খাতায় দুই জায়গায় সই নেন। তবুও তার দেওয়া তারিখ অনুযায়ী আমরা দেখা করলে হাতে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেন চাল শেষ। এক বস্তা চালের দাম কি ৫০০ টাকা হয় এমন প্রশ্ন করেন ভুক্তভোগীরা।
মামলার বাদী তদারকি কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, আমার উপস্থিতিতে ৪৯৬ জন কার্ডধারীদের দুমাসের ৩০ কেজি ওজনের দুই বস্তা করে চাল বিক্রি করার কথা। কিন্তু ডিলার তা না করে গোপনে এক বস্তা বিক্রি করে চাল দিয়ে মাস্টাররোলের দুই জায়গায় সই নেন। পরে তাদেরকে গত রোববার দেখা করতে বলেন। সেদিন কার্ডধারীরা এলে তিনি তাদেরকে চাল না দিয়ে ৫০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
হতদরিদ্রদের টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত ডিলার আবুল হাশেম বলেন, আমার পরিচিত কিছু কার্ডধারীরা চাল এক বস্তা নিয়ে আরেক বস্তা বিক্রি করেছিল। কিন্তু এ জন্য যে এতো ঝামেলা হবে, আমি তা বুঝতে পারিনি।
এ প্রসঙ্গে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই ডিলারের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে এবং তার ডিলার বাতিল করা হবে।