নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
চলছে হালকা শীতের আমেজ। এরই মাঝে স্মৃতি রোমন্থনে মিলন মেলায় কিশোর কৈশোর পেড়িয়ে একঝাঁক বার্ধক্যের হাতছানি। স্মৃতির আয়নায় চোখে-মুখে তারুণ্যের প্রকাশ যেন সেই ঝলমলে ৫০ থেকে ৬০ দশক। একই সময় সেই মিলন মেলায় কেউ বন্ধুদের সাথে কোলাকুলি, কেউ বন্ধুকে পাশে নিয়ে সেলফি তুলছেন, নিজেকে সময় নিয়ে চিরচেনা অতিতের অম্লান স্মৃতিতে আনন্দে আত্মহারা অনেকেই।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বাহিরগোলা রোডের গৌধুলী সিনেমার ২য় তলার ছাদে এমনি বৈচিত্র্যময় এক উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে। ৫০-৬০দশক বন্ধুদের আয়োজনে আনন্দে-উৎসবে মেতে ছিলেন আত্মিক বন্ধনে অর্ধ শতাধিক বন্ধু বান্ধব। সেই মিলন মেলা ঘিরে পুরনো বন্ধুকে কাছে পাওয়ার অভূতপূর্ব মুহূর্তগুলোর উচ্ছলতা চোখে না দেখলে বোঝা যায় না। কুশল বিনিময় আর হৃদয়ের উষ্ণতায় প্রাণের টানে অতিতের সেই দিনগুলো যেন বার বার ফিরে আসে। কেউবা চাকরি, ব্যবসা বানিজ্যে ও অন্যতম মহান পেশার সাথে জড়িত শিক্ষক সাংবাদিকতার হাল ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। রয়েছে জেলা জুড়ে তাদের সুনাম। বাল্যকাল থেকে বেড়ে ওঠার মধ্যে অনেকেই মৃত্যু বরণ করেছেন। হারিয়ে যাওয়া বন্ধু ও পরিবারের খোঁজ খবরও এ মিলন মেলায় উঠে আসে।
এ সময় বদরুল আলম, দানিউল হক মোল্লা, মোস্তাফা কামাল তারা, জাকিরুল ইসলাম সান্টু, শফিকুল ইসলাম লেবু খান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল মতিন খান, আশরাফুল ইসলাম দুলু, সেলিম আহম্মেদ, হেলাল কাদির, লিয়াকত আলী, মুক্তা খান, বাবলু, হাসু, বাচ্চু, শাহেদ আলী, সোহরাওয়ার্দী খান, খোকন, দুলাল, অপু, কবিরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ মিলন মেলা শেষে দেশীয় সাদা ভাত, গরুর মাংসের পিঠুলী, কেউরা ডালসহ সকলের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হয়।