মোঃতুষার আহমেদ:
সিরাজগঞ্জে ১ শিশু ও ২ নারীকে হত্যার অভিযোগে ২জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া হেরোইন রাখার দায়ে এক মাদক কারবারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবুল বাশার মিয়া এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চালার আ. মুন্নাফের ছেলে আল আমিন ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই গাজিপুরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকা নাসরিন, তার ফুপু মেহেরুননেছা ও বোনের শিশুকন্যা জাইমা খাতুনকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পরকীয়া প্রেমিক আল আমিন ও তার সহকারী রবিউল ইসলাম।
হত্যার পর লাশ ৩টি গুম করার জন্য সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর খাজাইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাচীরের পাশে যমুনা নদীতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। পরের দিন বস্তাবন্দি লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে স্বজনেরা লাশ শনাক্ত করে।
এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য শেষে আজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
অপরদিকে ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এরান্দহ নিজ বাড়ি থেকে শহিদুল ইসলামকে হেরোইনসহ আটক করে র্যাব-১২। এ বিষয়ে কামারখন্দ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলায় শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।