নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
“গ্রাম হবে শহর” এর আলোকে সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন উপজেলায় প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে আধুনিক মানের হাট ভবন নির্মাণ শুরু করে সিরাজগঞ্জের এলজিইডি। সরকারের লক্ষ্য এসব হাট ভবন নির্মাণ ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষ গুলো বিভিন্ন ধরনের আধুনিক সেবা পেয়ে থাকবে, এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সাল থেকে সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৬টি উপজেলার হাট ভবন নির্মানের কাজ ৫বছরে অতিবাহিত হলেও আজও শেষ হয়নি।
ফলে থমকে আছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার “গ্রাম হবে শহর” প্রকল্পের হাট ভবন নির্মাণ কাজ। এতে জনমনে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, “দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্পে গত ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৩ সালের চলতি মাসের চলমান কাজের অগ্রগতি ৩০ শতাংশ। জেলায় ৬টি হাট সেট নির্মাণ করা হচ্ছে। যার এক একটি ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। আকার ভেদে কিছু উপজেলায় কম-বেশি আছে। হাট সেট গুলোতে রয়েছে উন্নত মানের সোলার সিস্টেম এছাড়া দ্বিতীয় তলায় থাকবে বিভিন্ন শ্রেণীর আধুনিক দোকান, যাতে মানুষ সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি হাটের নতুন দোকানগুলো থেকে সংগ্রহ করে তাদের দৈনন্দিন চাহিদার সকল দ্রব্যাদি মেটাতে পারে।
আরো জানা যায়, প্রাথমিকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে জেলার সদর উপজেলার চন্ডীদাসগাঁতি বাজার হাট ভবন, রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুকড়া বাজার হাট ভবন, তাড়াশ উপজেলার গুলটা বাজার হাট ভবন, উল্লাপাড়া উপজেলার প্রতাপ বাজার হাট ভবন, বেলকুচি উপজেলার সমেশপুর বাজার হাট ভবন, কামারখন্দ উপজেলার পাইকোশা বাজারে হাট ভবন আধুনিক নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। মালামাল ফেলা রাখা এবং ভবন নির্মানের মাটি কেটে জায়গা সংকুচিত হওয়ায় হাটে পণ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা ভোগান্তিতে পড়েছেন চরমে। স্থানীয় সরকার দলীয় নেতা হাফিজুর রহমান জানান, সরকারের “গ্রাম হবে শহর” প্রকল্পের কাজ বিএনপি জামায়াত পন্থী কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে পাঁচ বছরেও এই কাজ শেষ হয়নি, এরা বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক।
চন্ডীদাস গাতি বাজারে হাট করতে আসা ফিরোজ জানান, এ অঞ্চলের দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে রয়েছে চরম হতাশা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চরম অবহেলা ও ধীর গতি কারণে আমাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, হাটে বাজার করতে আসা লোকজনের আগে যে জায়গা দিয়ে যাতায়াত করত, এখন হাট ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি আসার অনেক আগে থেকেই এই কাজ চলছে।