বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আবহাওয়ার সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে উচ্ছ্বাস উল্লাসে যথাসময় সারা দেশের সাথে খুলনায়ও ৩০ জুন রবিবার সকাল দশটায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভাগের ১০ জেলার ২৩০ টি কেন্দ্রে ৫৭৪ টি কলেজের মোট ১ লাখ ২৪ হাজার ১৪৮ জন পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা।
সে লক্ষ্যে পূর্বের থেকে যে সকল কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের জন্য আসন নির্ধারন হয়েছে সে সকল কেন্দ্রে কাঙ্খিত এইচএসসি পরীক্ষা দিতে হাজির হয়েছে পরীক্ষার্থীরা।
৩০ জুন প্রথম পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল দশটা থেকে চলবে বেলা একটা পর্যন্ত। তবে খুলনা জেলার শহর অঞ্চলের বেশ কিছু পরীক্ষা কেন্দ্র সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সকাল সকাল পরীক্ষার্থীদের আগমনীতে উচ্ছ্বাসিত হয়ে উঠেছে কলেজ প্রাঙ্গণ। অপরদিকে পরীক্ষা নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়োজিত রাখা হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে পুলিশ প্রশাসন আনসার ভিডিপি।
পাশাপাশি খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসারের পক্ষ থেকেও রয়েছে সাজাগ দৃষ্টি নকল মুক্ত সুশৃংখল অপ্রীতিকর অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ছাড়াই একটি সুন্দর পরীক্ষা উপহার দিতে চান তিনি।
এ সময় তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন এ বছর ছেলে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ও বেড়েছে পাশাপাশি মেয়েরাও রয়েছে এগিয়ে এক্ষেত্রে তিনি ছেলে ও মেয়ে ছাত্রদের ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা উল্লেখ করে বলেন গত বছর ছেলে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল ৫৫ হাজার ১১৩ জন,এবছর অংশ নিচ্ছে ৬১ হাজার ৮৭৮ জন হিসাব অনুযায়ী ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৬ হাজার ৬৬৫ জন। অপরদিকে এবার ছেলেদের তুলনায় বেশি সংখ্যক মেয়ে পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর শিক্ষা বোর্ড।
উল্লেখ্য গত বছর এই পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ১৪২ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল তবে এবছর অংশ নিচ্ছে ৬২ হাজার ২৭০ জন সেই তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা বেড়েছে ৭ হাজার ২২৮ জন এছাড়া আরো উল্লেখ করা হচ্ছে যে এ বছর পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের মধ্য বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৩ হাজার ২১৬ জন, মানবিক বিভাগে ৮৫ হাজার ৭৫২ জন ও ব্যবসায়ী শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৫ হাজার ১৮০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
এ সকল পরীক্ষার্থীদের মধ্য খুলনা জেলা থেকে অংশ নিয়েছে ২৩ হাজার ৪৬৫ জন,যশোর জেলায় ২০ হাজার ৪৯০ জন, বাগেরহাট জেলায় ৮ হাজার ৬৬৩ জন, সাতক্ষীরা জেলায় ১৩ হাজার ৯৪২ জন, কুষ্টিয়া জেলায় ১৬ হাজার ৩৫৯ জন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৭ হাজার ৭২২ জন, মেহেরপুর জেলায় ৪ হাজার ৪০৫ জন, নড়াইল জেলায় ৫ হাজার ৭২৯ জন, ঝিনাইদহ জেলায় ১৬ হাজার ৩৮৪ জন ও মাগুরা জেলা থেকে ৬ হাজার ৯৮৯ জন পরীক্ষার্থী এবার
এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
অপরদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রক অফিসার বলেন ঠিক এই মৌসুমে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পরীক্ষা চলার উপযোগী সময় না এই সময়টা সাধারণত মেঘ বাদলের সময় এই মৌসুমে পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা মানেই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটানো।
তবে আমি আশা করি এই সময় আগামী বছর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা আর নির্ধারণ করা হবে না সাবেক সময় অনুযায়ী এপ্রিল মাসেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আর এই সময় পরীক্ষা হওয়ার একমাত্র মূল কারণ হিসেবে তিনি বলেন বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময়ে পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়েছিল তবে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ বিবেচনায় নিয়েছেন এবং ইতোমধ্য ঘোষণাও দিয়েছেন আগামী বছর থেকে এপ্রিল মাসেই যথারীতি ভাবে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।