মোঃ রিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জঃ
পহেলা বৈশাখ ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলার প্রাচীন রাজধানী নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ১৫ দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২ ও সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব-২০২৫’ পালিত হবে।১৪ই এপ্রিল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে।বাংলাদেশ লোক কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত বৈশাখী মেলা ও সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইলিয়া সুমনা।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের সম্মানিত সদস্য ও জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি চন্দ্র শেখর সাহা, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান প্রমুখ।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম।এ ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।উদ্বোধন শেষে ময়ূরপঙ্খী লোকজ মঞ্চে পরিবেশিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।এ ছাড়াও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মফিদুর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত বৈশাখী মেলা-১৪৩২ ও সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। সোমবার বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হবে বৈশাখী মেলা-১৪৩২ ও সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব-২০২৫।১৫ দিন ধরে চলা মেলায় থাকবে দেশের সেরা কারুশিল্পীদের হাতে তৈরী নকশি কাঁথা,দারু শিল্প,হাতপাখা জামদানি,শতরঞ্জি,কাঠ খোদাই শিল্প,মৃৎশিল্প,শোলাশিল্প,পটচিএ শিল্প, বাঁশ-বেতশিল্প এবং ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মের উপস্থাপন এবং বিপণনের সুযোগ।মেলায় আরো থাকছে লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,বাউল গান,পুতুল নাচ,বায়স্কোপ,সাপের খেলা,হালখাতা,নাগরদোলাসহ গ্রামীণ বিনোদনের নানা আয়োজন।এ ছাড়াও কৈশোরের রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলোকে পুনরায় আলিঙ্গন করতে থাকছে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা কানামাছি,বউচি,তিন গুটি,সাত গুটি বাঘবন্দি,গোল্লাছুট,কপাল টোক্কাসহ আরো অনেক কিছু।আর রসনাতৃপ্তির জন্য থাকবে মুখরোচক সকল ধরনের বাঙালি খাবার।নববর্ষে আগত অতিথিদের জন্য থাকবে সকালের পান্তা, ইলিশ ও নানা রকমের ভর্তা।মেলা চলাকালীন সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য থাকবে বিশেষ সুযোগ সুবিধা।এটি নিঃসন্দেহে পরিবার নিয়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যকে খুব কাছ থেকে দেখার একটি আদর্শ জায়গা। ছুটির দিনে ঘুরার জন্য উপযুক্ত স্থান এই জাদুঘর।বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্যের সাক্ষী এ জাদুঘর প্রতিনিয়ত বাঙালি ভ্রমণ পিপাসুদের আকর্ষণের প্রতীক হয়ে উঠছে।