মোঃ রিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মোঃ কাউসার ফকির (৩৩) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ কাইউম খাঁন তথ্যটি নিশ্চিত করেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মোঃকাউসার ফকির বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকার সারোয়ার ফকিরের ছেলে।ঘটনার সময়ে তিনি সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকার খায়রুল বাশারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।সেইসঙ্গে কাঁচপুর বিসিক শিল্পনগরীর একটি ফ্যাশন কারখানার কর্মচারী ছিলেন।মামলার নথিপত্রে জানা যায়,কাউসার মিয়া তার স্ত্রী শারমিন আক্তার লাভলীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তার শাশুড়ি রাশিদা বেগম ছেলে ইমদাদুল হককে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।দুপুরের খাবার শেষে ইমদাদুল হক বাসা থেকে বের হয়ে বাহিরে বেড়াতে যায়।এসময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।ঝগড়ার একপর্যায়ে রাশিদা বেগম মেয়ের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউসার উত্তেজিত হয়ে ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ করে ঘরে থাকা দা দিয়ে প্রথমে লাভলীকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।মেয়েকে কোপাতে দেখে রাশিদা বেগম প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাকেও কোপাতে শুরু করেন।দায়ের কোপে ঘটনাস্থলেই স্ত্রী ও শাশুড়ি মৃত্যুবরণ করেন।এই ঘটনায় ইমদাদুল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত বিচারকি কার্যক্রম শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।