মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি,,
হবিগঞ্জের মাধবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র মো. আফরোজ হোসেন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও নিহত ছাত্রের স্বজনেরা। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মাধবপুর উপজেলা গেইট এলাকা থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী আধাঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
মানববন্ধন চলাকালে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন মাধবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিরা। পাশাপাশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীও কর্মসূচিতে সংহতি জানান।
ঘটনার পটভূমিগত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পূর্ব শত্রুতার জেরে মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউপির আদাঐর গ্রামে আফরোজের দাদা দুলাল মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী আশিক মিয়া, মাসুক মিয়া, জুরু মিয়া ও সাহেদ মিয়াদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে আশিক, মাসুক, জুরু ও সাহেদ মিয়াসহ তাদের সহযোগীরা আফরোজের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আফরোজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়। ঢাকার একটি হাসপাতালে দুই দিন আইসিইউতে থাকার পর আফরোজ মারা যান। তিনি সৌদি প্রবাসী মো. মুক্তার মিয়ার একমাত্র ছেলে।
পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের দুই দিন পরেও আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন স্বজন ও স্থানীয়রা। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

