মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি,,
হবিগঞ্জের মাধবপুরের চৌমুহনী ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে দুই কৃষকের প্রায় ৪০০ টমেটো গাছ রাতের আঁধারে কেটে নষ্ট করার ঘটনা পুরো এলাকায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই নাশকতা স্থানীয়দের মতে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—উপজেলায় চলমান কৃষি ক্ষতির পুনরাবৃত্তির আরেকটি উদাহরণ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ: ‘এটা আগে থেকে পরিকল্পনা করা ছিল’ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা সকালে জমিতে গিয়ে কাটা গাছের সারি দেখে হতবাক হয়ে যান। ভুক্তভোগী রুকেল মিয়া বলেন, এটা আকস্মিক নয়, আগে থেকে লক্ষ্য করে পরিকল্পনা করে এসেছে। আগেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।”
তাদের অভিযোগ, নাশকতাকারীরা শুধু ফসল কাটেনি—পুরো মৌসুমের বিনিয়োগ, পরিশ্রম ও আয় এক রাতে শেষ করে দিয়েছে।
একই ধাঁচের ঘটনা বাড়ছে—কারা করছে? কেন করছে?
স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দাদের ভাষ্য—মাধবপুরে গত কয়েক মাসে একই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
কোথাও মাছের পুকুরে বিষ নিক্ষেপ, কোথাও জমির পাকা ফসল নষ্ট, কোথাও গবাদিপশু চুরি করে নিয়ে আর্থিক ক্ষতি, আবার কোথাও চাষাবাদের গাছ কেটে দেওয়া—এই তিন ধরনের নাশকতাই বেশি দেখা যাচ্ছে।
এই ধরনের অপরাধের অভিযোগ করা হলেও বিচার হয় খুব কম। তাই যারা করে তারা ভয় পায় না।”
এসব ঘটনার পেছনে রয়েছে—
১. স্থানীয় বিরোধ ও আধিপত্যের লড়াই
২. শাস্তিহীনতার পরিবেশ
৩. কৃষকদের দুর্বল অবস্থানকে ব্যবহার করা
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় না আনতে পারলে খেটে খাওয়া মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে, সমাজে অপরাধ প্রবণতা আরো বেড়ে যাবে।

