আব্দুল গাফফার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
দীর্ঘ ১২ বছর আত্মগোপনে থেকেও গ্রেপ্তার এড়াতে পারেনি আলী হাসান (৪৫)। শেরপুর থানা পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গত রবিবার রাতে দিনাজপুরের বিরল উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। আলী হাসানের বাড়ি শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের লক্ষ্মীকোলা সেনপাড়া গ্রামে।
গতকাল সোমবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়ার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শেরপুর থানা পুলিশ সূত্র মতে, ২০১৩ সালের একটি প্রতারণা মামলায় আলী হাসানের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড করেন আদালত। এই সাজা প্রদানের পর থেকে আলী হাসান এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। সূত্র আরো জানায়, ২০১৫ সালে দুইটি এবং ২০১৭ সালে আরো একটি প্রতারণা মামলায় আলী হাসানের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হয়েছে। আলী হাসান মোট চারটি মামলায় আদালতের মাধ্যমে দন্ডপ্রাপ্ত হন।
জানা যায় আলী হাসান, দিনাজপুরের বিরল উপজেলা সদরে একটি ইউপি সদস্যের বাড়িতে গোপনে বসবাস করতেন। এখান থেকে সে আলু ব্যবসার সাথে জড়িত। গত রবিবার রাতের তিনটায় স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আজ সোমবার তাকে শেরপুর থানায় আনা হয় এবং সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়ার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নঈমুদ্দিন বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আলী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলী হাসান চারটি সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামি ছিলেন।