মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ -র্যাব ও বিজিবিসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে থাকবে ১৩ দিন।
আগামী ৭ জানুয়ারি হবে ভোট গ্রহন, এর আট দিন আগে ২৯ শে ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটারের এই নির্বাচনে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভোট কেন্দ্র প্রতি ১৫-১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত থাকবে। স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী। ভোটের আগে -পরের ১৩ দিন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
আনসার – ভিডিপিসহ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা সদস্যরা ভোটের আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন মিলিয়ে ৫ দিন নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, কমিশনের ভেটিং শেষে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে মন্ত্রনালয় এ পরিপত্র জারি করেছে।
পরিপত্রে বলা হয় ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা মেট্রোপলিটন এলাকা, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ও পার্বত্য এবং দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোট কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৫ – ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৬ -১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তবে রিটানিং কর্মকর্তা চাইলে সংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।
অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার ৫ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ ও র্যাব সদস্য, ২ হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড সদস্য এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি সদস্য থাকবেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
৬ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্যাস্কি, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিন চালিত নৌযান চলাচল করতে পারবেনা। ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদশর্ন করতে পারবেন না কেউ।
কেবল জরুরি প্রয়োজনীয় বাহন ও ইসির অনুমতিপ্রাপ্ত যান চলাচল করতে পারবে।
ভোট গ্রহনের আগের ৪৮ ঘন্টা ও পরের ৪৮ ঘন্টা মিছিল মিটিং ও শোভাযাত্রা করা যাবেনা।