বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
শেখ রাসেল দীপ্তময়,নির্ভীক নির্মল দুর্জয়।
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তৃতীয়বারের মতো সারা দেশব্যাপী রাষ্ট্রীয়ভাবে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ পালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে কেক কাটার মধ্য দিয়ে খুলনার প্রশাসন মহলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুধীজনদের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যয় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কেসিসি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন দেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের একেবারে কনিষ্ঠ এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের স্নেহধন্য নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলের নাম বাংলার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল করে রাখার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা গত তিন বছর পূর্বে শেখ রাসেলের জন্মদিনটিকে শেখ রাসেল দিবস ঘোষণা করেন।
আর ওই দিনের পর থেকেই প্রতিবছর সারাদেশব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও স্কুলের শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ১৯৭১ এর বিভীষিকাময় ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে শিক্ষামূলক বিতর্ক এবং চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও অনাথ অসহায় পথ শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত করা হয়ে থাকে।
এ সময় তিনি আরো বলেন শেখ রাসেল মানেই একটি ইতিহাস, শেখ রাসেল মানেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বর্বোচিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিভীষিকাময় অধ্যায়।
ওইদিন ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে সপরিবারে হত্যা করেছিল একে একে পরিবারের সকলকে। ওই সময় ঘাতকরা এতটাই বিক্ষিপ্ত উগ্র রূপ ধারণ করেছিল তাদের নর পৈচাশিকতার কাছে ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলর ক্ষমা হয়নি।
তিনি আরো বলেন শেখ রাসেল যদি আজ বেঁচে থাকতো তাহলে স্বাধীনতার পরা শক্তি এতটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারত না। শেখ রাসেল শিশু থাকলেও তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো উচ্চমার্গে।
তাই দেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত শেখ রাসেলের নামে অসহায় অনাথ হতদরিদ্র বঞ্চিত পথ শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সংগঠন তৈরি করেছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর শেখ রাসেল সংগঠনের দেশের সকল কর্মীদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন শেখ রাসেল সংগঠন মানে এই দেশের বঞ্চিত শিশুদের জন্য উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের চিন্তাধারা। দেশজুড়ে এই সংগঠন গুলিতে কোন দুর্নীতিবাদ চাটকতার যেন আশ্রয় না হয়।
এ সময় দিবসটির বিভিন্ন তাৎপর্য তুলে ধরে আরো বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ ইয়াসির আরেফীন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, খুলনা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম সহ উপস্থিত আরো সম্মানীয় অতিথিবৃন্দরা।
এর আগে দিনের শুরুতে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য স্তবক অর্পণ বেলুন ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনটির শুভ সূচনা করেন খুলনা কেএমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক পরে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে নগরীতে একটি বর্ণাঢ্য র্যলি বের হয়। র্যলিতে প্রশাসন মহলের সকল কর্মকর্তা দলীয় অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষেরা অংশগ্রহণ করেন।