মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশালের হিজলা উপজেলার খালিশপুর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা।তাদের হামলায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ৬ পুলিশ, পুলিশের ট্রলারের মাঝি এবং জেলেসহ অনন্ত ১৪ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ৯ জেলেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সরকারি কাজে বাঁধা এবং হামলার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে ৪০০ জেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।হিজলা থানার ওসি মোঃ ইউনুস মিয়া জানান, হিজলার গৌরবদী ইউনিয়নের খালিশপুর সংলগ্ন বড় মেঘনা নদীতে গত বুধবার গভীর রাতে ৬৫ থেকে ৬০ টি ট্রলারে ৩ থেকে ৪০০ শ জেলে মাছ শিকার করছিলো। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমএম পারভেজের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে ১৮ জন পুলিশ সদস্যসহ একটি ট্রলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালায়।অভিযান পরিচালনা করে একটি ট্রলারসহ ৯ জেলেকে আটক করে।
এসময় নদীতে মাছ শিকাররত অন্যান্য জেলেরা পুলিশের ট্রলার লক্ষ করে ইট পাটকেল ছোড়ে। এক পর্যায়ে তারা বাঁশ এবং লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশ ট্রলারে হামলা চালায়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩ রাউন্ড করে জেলেদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তা এমএম পারভেজ, এসআই ফরিদ, এ এসআই বশির, সাইফুল ও সোহেল এবং কনস্টেবল মাহফুজুর রহমান ও মোশাররফ হোসেন, পুলিশ ট্রলারের ২ মাঝি এবং আটক জেলেদের মধ্যে ৫ জন আহত হয়।এদের মধ্যে গুরুতর আহত কনস্টেবল মাহফুজকে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার মুখেও পুলিশ হালেম রাড়ি (৩০), মজিবুল হক ফকির(৪৭), টিপু হাওলাদার (২২), সালেহ ফরাজীব(৫২), জুয়েল চৌকিদার (২০), হোসেন বেপারী (১৯), কদম আলী হাওলাদার(৩৫), মনির সিকদার (৩৫) এবং হারুন ফকির(২৫) নামের ৯ জেলেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের সকলের বাড়ি হিজলার চরদেবুয়া এলাকায়। এ ঘটনায় আহত এসআই ফরিদ বাদী হয়ে আটক ৯জনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০- ৪০০ জেলেকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সকালে একটি মামলা করে।ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সকালে ৯ জেলেকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।আদালত তাদের কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে মেঘনা নদীতে পুলিশের নজরদারী বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিজলা থানার ওসি।