মোঃ মাসুম উদ্দিন খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে মহামুনি দারুন নাজাত হিফজুল কোরআন বালক-বালিকা মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. আবদুল হালিম সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে মানিকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আলেম ওলামা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালি ছাত্র পরিষদ, বিভিন্ন নানা পেশার মানুষসহ ও সর্বস্তরের জনগণ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মো. আবদুল হালিম (৩০) মোটর সাইকেল যোগে রামগড় থেকে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। রাত পৌঁনে ১১টার দিকে মানিকছড়ি গিরিমৈত্রী ডিগ্রি কলেজের সামনে পৌঁছামাত্র সন্ত্রাসীরা তাঁর মোটর সাইকেল থামিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এতে হাফেজ মো. আবদুল হালিম মোটর সাইকেলের চাবি দিতে না চাইলে উপজাতি সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে থাকে আহত করে,পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে মানিকছড়ি উপজেলা হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক দ্রুত তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা কওমি ওলামা পরিষদের সভাপতি হাফেজ ফজলুল হক ওলামা নেতা মাওলানা ওসমান গনি, মাওলানা মহি উদ্দীন সুরুজ, মাওলানা মো. ইব্রাহিম খলিলসহ আলেম ওলামারা বক্তব্যে বলেন, পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীর হামলায় আহত হালিমমের ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যেতে চললেও এখনও জ্ঞান ফিরেনি।
আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দাসহ ঘটনায় জড়িত ও জনপদের আতংক উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় জন্য প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলাম। এর মধ্যে এসব সন্ত্রাসী আইনের আওতায় না আসলে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে হরতাল, অবরোধসহ কঠিন কর্মসুচী দেওয়া হবে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনচারুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদরাসা শিক্ষক চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সঠিক তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।