মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল, প্রতিনিধিঃ
বরিশালের হিজলায় মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশে হিজলায় প্রেসক্লাবে তার পালিত লাঠিয়াল বাহিনীর হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করার প্রতিবাদে হিজলায় কর্মরত ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সকল সাংবাদিক দের মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
২২ অক্টোবর হিজলা মৎস্য দপ্তর ও নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীদের ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির দুইশত মন মাছ জব্দ করে।
ওই মাছ বেলা একটার দিকে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সামনে কিছু মাছ এতিমখানা ও অসহায় দুস্থদের মাঝে বিতরন করে।
জব্দকৃত মাছের মধ্যে শতাধিক পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিলো। ওই মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তার পালিত লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে যাওয়ার সময় জনগনের রোশানালে পরে এই ছবি সাংবাদ কর্মীরা ক্যামেরাবন্দি করায় মৎস্য কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে পাহারাদার বারেক মোল্লা, কাজী হানিফ, আরিফ সহ বাহিনীর একাধিক ব্যক্তি নিয়ে হিজলা পেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপরে হামলা করে, ক্যামেরা ও আসবাবপত্র ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়।
এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সকল সাংবাদিক ছুটে আসে প্রেসক্লাবে তখন মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ সহ তার লাঠিয়াল বাহিনীর সকল সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
ঘটনা ভিন্ন খাদে প্রবাহিত করতে রাতে মৎস্য কর্মকর্তা একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হিজলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, হিজলায় কর্মরত সাংবাদিকরা মৎস্য অফিসের দুর্নীতি ও চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের চিত্র পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার কারনে মৎস্য কর্মকর্তা এমএম পারভেজ সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ ধরনের জঘন্যতম কাজে লিপ্ত হয়েছে।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ হিজলা প্রেসক্লাবের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করায় মৎস্য কর্মকর্তা এমএম পারভেজকে এক নাম্বার আসামী করে হিজলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে আজকের এই মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, এই দুর্নীতিবাজ মৎস্য কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আরো কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে।

