ঢাকায় বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে খুলনায় ডর্জন দুয়েক নেতাকর্মী আটক!

বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:

মাত্র একদিন পরেই বিএনপি সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের সর্ববৃহৎ কর্মসূচি ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে দেশের সর্ববৃহৎ বিরোধীদল বিএনপি।
এতে ৬৪ জেলা থানা পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীদের ঢাকায় উপস্থিত থাকার জন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে দলীয় হাই কমান্ডের নেতারা।
অথচ এরই মধ্যে দেশজুড়ে চলছে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারি অভিযান।
আর সরকারের পুলিশ বাহিনী কর্তৃক আটক আতঙ্কে নেতাকর্মীরা নিজেদের বাসায় রাত্রিযাপন করতে পারছেনা।
খুলনার বিএনপি’র দলীয় সূত্রে জানা গেছে গত দুই দিনের ব্যবধানে প্রায় ডজন দুয়েক নেতাকর্মীদের আটক করেছে পুলিশ। তাছাড়া রাত হলেই একেবারে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিটি নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে প্রশাসন।
বিএনপির দলীয় সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে আরও জানিয়েছে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত ২৪ নেতা কর্মী গ্রেফতার হয়েছে একই সঙ্গে খুলনা মহানগর এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীর আত্মগোপন শুরু করেছে। দলীয় সূত্রে থেকে আরো জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় ২৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রায় দুই থেকে আড়াইশো নেতাকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
এদিকে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যতই আটক আর গ্রেফতার করা হোক না কেন হাজার চেষ্টা করেও বিএনপির এই মহাসমাবেশে চুল পরিমাণে বিঘ্ন ঘটাতে পারবে না সরকারের প্রশাসনিক গুন্ডাবাহিনী।
কারণ সরকার বিএনপি’র প্রত্যেকটা কর্মসূচিতেই আতঙ্কে থাকে। কারণ বিএনপি’র প্রত্যকটা জনসভায় হাজার নয় লাখো জনতার সমুদ্রে পরিণত হয়। আর বিগত দিনের বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মসূচি দেখে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে সে বুঝতে পেরেছে জনগণ তার পাশে নেই তার পায়ের নিচে মাটি নাই।
বিএনপি চায় দেশের প্রতিটা সমাবেশ কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে করতে। কিন্তু তারা যা শুরু করেছে তাতে কোনোক্রমেই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারছিনা।
একের পর এক কেন্দ্রীয় ঊর্ধ্বতন নেতা কর্মীদের আটক করে জেলবন্দি করে রাখছে।
তবে নেতারা এখন আর আত্মগোপন করবে না প্রকাশ্যে জনসম্মুখে রাজনীতি করার জন্য নেমেছি রাজনীতি করবো দেশকে এই দালাল সরকারের জুলুম নির্যাতন অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা করবো ইনশাল্লাহ।
সরকার আমাদের এই বৃহৎ পরিকল্পনা এবং সর্ববৃহৎ সমাবেশকে পন্ড করার জন্য নেতাকর্মীদের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে আটক করার পায়ে তারা শুরু করেছে।
দলীয় সূত্র থেকে আরো জানিয়েছে আজকের দিন পর্যন্ত গ্রেপ্তার কৃতরা হলেন ফুলতলা উপজেলা জামিরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জিয়াউর রহমান সরদার, জামিরা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আব্দুল্লাহ খান, রুপসা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এস এম বোরহানউদ্দিন, যুবদল নেতা মোঃ সাগর সর্দার, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদল নেতা শাহরিয়ার আলম বাপ্পি খান, আলিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আক্তার শেখ, তেরোখাদা উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি লস্কর আবুল কালাম, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ হুমায়ুন কবির, ডুমুরিয়া উপজেলা মাগুরঘোনা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আশরাফুল, খর্নিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাশেম মেম্বর, কয়রা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলম ও দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক রাজু আহমেদ। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন খুলনা জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে খামাখা হয়রানি করছে পুলিশ।
পাশাপাশি নারী নেত্রীদের ও বিভিন্ন কায়দায় ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। হঠাৎ করে এই ধর পাকর শুরু হয়েছে শুধুমাত্র ঢাকার মহাসমাবেশ কে কেন্দ্র করে।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলা উপজেলার নেতাকর্মীরা বলছে সরকার এতটাই ভয় পেয়েছে বিএনপি’র কর্মসূচিকে যেকোনো পন্থায় তারা এই কর্মসূচি পন্ড করার জন্য মেতে উঠেছে।
তবে সরকার যতই পায়তারা করুক না কেন আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কঠোর অবস্থান এবং বদ্ধপরিকর ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যেকোনো উপায়ে সম্মেলন সফল করব ইনশাল্লাহ।