বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
বই মানুষকে সঠিক পথপ্রদর্শনের সহযোগিতা করে বই অধ্যায়ন করলে জ্ঞান উন্মোচন হয়।
তাছাড়া আলোকিত মানুষ তৈরিতে বইয়ের কোন বিকল্প নাই। বই ছাড়া কখনো জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়।
বই মানুষকে সুশিক্ষা দান করে।
যে যতো বই অধ্যায়ন করে তার বিবেক তত বেশি সচ্ছ হয়।
তাই বই হোক সকলের নিত্য সঙ্গী।
নতুন প্রজন্ম আজ মোবাইলের ফেইস বুকে আকৃষ্ট হয়ে বই অধ্যায়ন থেকে একেবারেই পিছিয়ে পড়ে পুঁথিগত ও বাহ্যিক জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিভাবকদের দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে বেশি বেশি বই পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে সঠিক জ্ঞানে ভূষিত করে তোলা ।
তাই ছেলেমেয়েরা যাতে বেশি করে বই পড়ে সেদিকে অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে।
২৮ অক্টোবর বিকালে খুলনা বিভাগীয় সরকারি গ্রন্থগার প্রাঙ্গনে বিভাগীয় বইমেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যয় সিটির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এসব কথা বলেন।
খুলনা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এই বইমেলার উদ্বোধন হয়।
এ সময় মেয়র পাকিস্তানিদের নির্মমতার কথা তুলে ধরে বলেন তাদের আমলে দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর আমাদের বাঙালি সন্তানদের সকল ধরনের শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রে তারা বাধা সৃষ্টি করত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ আসাদুজ্জামান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম,জেলা প্রশাসক মোঃ ইয়াসির আরেফীন, জাতীয় জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক নেসার উদ্দীন আয়ুব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সরকারি গ্রন্থগারের উপপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় ও খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এবং সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বইমেলায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলা প্রশাসনের ১০টি ষ্টল, মিডিয়া কর্নার, মুক্তিযোদ্ধা কর্নার সহ প্রকাশনা সংস্থা বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বই বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের ৯০টি স্টল রয়েছে।
আট দিনব্যাপী এই বইমেলা সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১০ টা থেকে রাত ন’টা এবং অন্যান্য দিনগুলোতে বিকেল তিনটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিন আলোচনা সভা সেমিনার নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন বিষয় ভিত্তিক প্রবন্ধ পাঠ মনোজ্ঞ সংস্কৃতি অনুষ্ঠান এবং শিশু কিশোরদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলে জানান মেলা কর্তৃপক্ষ।