বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও জামাত দোসরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা নয়া পল্টনের মহাসমাবেশ ব্যর্থতার রোশানলে হরতাল নামক সংঘাতময় আন্দোলনের ডাক দেয় বিএনপি ও স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি পাকিস্তানি দোসর জামাত ইসলাম ।
২৯ অক্টোবর রবিবার সারা দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডেকে দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ২৮ অক্টোবরের পল্টনের জনসভার মারদাঙ্গা বিশৃঙ্খলা ঘটনার মধ্য দিয়ে পুলিশের ওপর দলীয় গুন্ডাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতন পরে তাকে হত্যা এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগ মুহূর্তের মধ্য দেশ জুড়ে বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি সহ নাশকতা দৃশ্যমান হয়েছে
যা দেশ বিদেশের মানুষের নজর কেরছে।
পরে গত ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৭২ ঘন্টা দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আবারো নাশকতায় মেতে উঠেছে দল দুটি।
উল্লেখ্য ইতিহাস সাক্ষী দেয় ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচিতে তৎকালীয় বিএনপি ও জামাত শিবিরের ৪ দলীয় ঐক্য জোট মুখোশের অন্তরালে থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছদ্মবেশে শামিল হয়েছিল আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচিতে।
এবং সেদিনও একই কায়দায় দলীয়ভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে মুহূর্তের মধ্যো সমাবেশ পণ্ড করে দিয়ে অসংখ্য মানুষের জীবনের উপর দিয়ে তাদের রক্ত পিপাসা মিটিয়েছিল।
আর তার দায়ভার গ্রহণ করতে হয়েছিল লগি বৈঠা আন্দোলন হিসেবে আওয়ামী লীগের।
অথচ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিটি মানুষের দুরবস্থার মধ্য আবারো বিএনপি জামাত সংঘাতময় আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ ৫ নভেম্বর রবিবার থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬ টা পর্যন্ত সর্বাত্মক ৪৮ ঘণ্টা ব্যাপী সমগ্র দেশ জুড়ে রাজপথ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়ে দেশ অচল করার পাঁয় তারায় লিপ্ত হয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক নাজুক অবস্থা ও ব্যবসায়ীদের মন্দা ভাবের কথা একটুও বিবেচনা করছেনা এই দলগুলি। এক্ষেত্রে খুলনা অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বলছে বৈশ্বিক মহামারী করোনার শুরু থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আমরা ব্যবসায়ীরা ক্রমান্বয় কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করেও লুকশানের হুমকিতে রয়েছি।
তারপরে আবারও দেশের রাজনৈতিক তাল মাতাল অস্থির অবস্থার মধ্য যদি দেশের বিরোধী দল গুলো দেশের ব্যবসায়ী ও জনগণের কথা বিবেচনা না করে একের পর এক সংঘাতময় সহিংস আন্দোলন রাজপথ রেল পথ অবরোধ হরতালের মতন কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো দুর্বল করে তাহলে সাধারণ মানুষদের বেঁচে থাকাই দুষ্কর হয়ে পড়বে।
পাশাপাশি দেশের ক্ষমতাশীল দলের নেতারা বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও হরতাল অবরোধ বিরোধী মিছিল মিটিং অব্যাহত রেখে বিরোধী দলের আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও অগ্নিসংযোগ নাশকতা ও জান মালের ক্ষয়ক্ষতি হয় এমন আন্দোলনের ক্ষেত্রে কঠোর হাতে দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে আওয়ামী লীগ শান্তির রাজনীতি করে।
বঙ্গবন্ধু সর্বদা শান্তির পক্ষেই ছিলেন তিনি দেশ স্বাধীনের পূর্বের থেকেই সাধারণ মানুষদের নিয়ে দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আন্দোলন করে গেছেন।
আর বিএনপি জামাত প্রতিষ্ঠা থেকেই তারা দেশ বিরোধী কাজ করেছে। দেশের জনগণের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।
তাছাড়া ১৯৭১ সালে দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানিদের দোসর নামে চিহ্নিত জামাত ইসলাম সংগঠনটি প্রকাশ্য তাদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশের সূর্য সন্তানদের হত্যা করেছে। মা-বোনদের সম্ভ্রম হানি করতেও সহায়তা করেছে।
সে লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম ক্ষমতায় এসেই পাকিস্তানিদের দোষোর দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও বিএনপি তাদের মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দেশ জুড়ে খুনের রাজনীতি কায়েমের মাধ্যমে ২১ আগষ্টের মত ঘৃণ্য বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে চিরতরে শেষ করে দেওয়ার নীলনকশার পরিকল্পনা করলেও পরম করুনাম এর অশেষ রহমতে তিনি প্রাণে বেচে গেল ও জামাত বিএনপির গ্রেনেড হামলার স্বীকার হয়ে ঘটনা স্হলেই জীবনের আত্নহুতী দিতে হয়েছিল আইভী রহমান কে।
তারই পুনরাবৃত্তি ঘটানোর লক্ষে জামাত-বিএনপি আবারো রক্ত লালসায় লিপ্ত হয়ে মাঠে নেমেছে।
তবে তাদের এই খুনের রক্ত লালসার অপরাজনীতিকে দেশের জনগণ কখনো আর মেনে নেবে না।
এরা কখনো দেশের উন্নয়ন করেনি বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরামহীন পরিশ্রম ও বিচক্ষণতার মাধ্যমে দেশের নিজস্ব অর্থায়নে একের পর এক মেঘা প্রকল্প উন্নয়ন করা দেখে এরা হিংসায় জ্বলে ওঠে।
তবে বিরোধীদলের এত সব আন্দোলন ও সংঘাতময় সংঘর্ষের মধ্যেও
দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে গত ১ নভেম্বরেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে একই সময় ভার্চুয়ালিতে দেশের তিনটি মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করেন ।
যার মাধ্যমে দু’দেশের সম্প্রীতি আরো বৃদ্ধি হয়েছে।
আর এ সকল উন্নয়নের অবকাঠামোকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে বিরোধীদল জামাত-বিএনপি বিদেশীদের কাছে মিথ্যা অপপ্রচার ও জ্বালাও পোড়াও খুনের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে।
তবে তাদের অপরাজনীতির বিষ দাঁত ভেঙে দিতে বাংলাদেশের জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।
        
                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                
                                
                                
                                
                                