নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
তাড়াশের ভদ্রাবতী খাল খননে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।
প্রায় ৫৪ দিন আগে ঘটনার সত্যতা মিললেও তদন্ত প্রতিবেদন উর্দ্ধতন অফিসে জমা না দিয়ে সিরাজগঞ্জের নির্বার্হী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামকে বাঁচাতে আবারো করা হচ্ছে পুনঃ তদন্ত। তদন্তের নামে প্রকৃত ঘটনা ও সময়ক্ষেপন করে প্রকৃত রহস্য ভিন্নভাবে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে গুঞ্জর উঠেছে। এদিকে নির্দোষ প্রমাণ করতে এরইমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে তদবীরও করে চলছেন নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম।
তাড়াশ উপজেলায় গত ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর খাল খননের দুটি প্রতিবেদনে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায়। এছাড়া ২৫ সেপ্টেম্বর রাস্তার কাজে অনিয়ম পায় তদন্ত কমিটি।
নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ হয়। এরপর অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণও পায় মন্ত্রণালয় ও এলজিইডির তদন্ত কমিটি। গত ১৭ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আঞ্চলিক পাবনা অফিসের তদন্ত কমিটিও অনিয়মের প্রমাণ পায়।
এর আগে প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, খাল খননে শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা ৩০ শতাংশ এবং বেকু দিয়ে কাজ করার কথা ৭০ শতাংশ। অথচ
সম্পূর্ণ কাজই করা হয়েছে বেকু দিয়ে।
বেকুর দরের চেয়ে শ্রমিকের মজুরি দর বেশি, তাই বিলও প্রদান করা হয়েছে শ্রমিকের মজুরি দরে। বিভিন্ন নামে বেনামে এমনকি মৃত শ্রমিকদের নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে বিল উত্তোলন করা হয়েছে।
যন্ত্র ব্যবহার করে, শ্রমিকের মজুরির দরে বিল প্রদান করার ফলে সরকারের ৪১ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত লোকসান হয়েছে।
ঠিকাদার কবির তালুকদার জানান, গত ৫৪ দিনেও খাল খননের প্রতিবেদন না দিয়ে এখন শুনছি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এতো দিনে পুনঃ তদন্তের জন্য যাবেন। তার সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীর গোপন আঁতাত আছে কিনা দেখতে হবে।
এলজিইডির রাজশাহী আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলী জানান, খাল খননের তদন্ত প্রতিবেদন আমার অফিসে জমা হয়নি।
এবিষয়ে পাবনা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নবীউল ইসলামকে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ভদ্রাবতী খালের আবার ও পুনঃ তদন্ত করা হবে।