রশিদুল ইসলাম কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাটের জমজমাট গরুর হাটে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ভারতীয় গরু ক্রয়/বিক্রয় হচ্ছে। ক্রেতা সহ ব্যবসায়ীরা ভারতীয় গরুর কথা স্বীকার করেন।
প্রান্তীক পর্যায়ের গরু ব্যবসায়ী ও খামারীরা বলেন ভারতীয় অবৈধ গরু চোরাই পথে আসার ফলে আমাদের গরুর দাম কম বলছে । স্থানীয় গরুর মালিকগন আরও বলেন রাতের আধারে ইজারাদারের পালিত সন্ত্রাসী দ্বারা ভারতীয় গরু এবং ব্যবসায়ীদের পাহাড়া দেওয়া হচ্ছে এবং গরু রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কেননা ইজারাদার ক্ষমতা বলে হাটের দিন ব্যাতিত দিনে ও রাতে রশিদ দিয়ে বৈধতা করছে ভারতীয় বর্ডার দিয়ে পাড় হওয়া গরু গুলো।
শুধু কি তাই ক্রেতার রশিদ বাবদ নিচ্ছে ৩৫০ টাকা বিক্রেতার নিচ্ছে ৩০০ টাকা। যেখানে বিক্রেতার রশিদ খরচ নেওয়ার কোন ইখতিয়ার নাই ইজারাদারের। স্থানীয়দের মতে চাপারহাট তো নয় যেন ভারতীতের একটি অঙ্গরাজ্যের গরুর হাট। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিকগণ গরুর হাটের ফুটেজ ও ছবি সংগ্রহের সময় বাধা দেয় ইজারাদার শাহ আলম। ইজারাদার শাহ আলম কোন ভাবেই গরুর হাটে অবস্থান করতে দেননি সাংবাদিকদেরকে। পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ায় সাংবাদিকগন কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব জহির ইমাম মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেন। তিনি বলেন এ বিষয়ে আমার জানা নাই আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এদিকে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয় কে জানালে তিনি নেটওয়ার্ক এর সমস্যা বলে শুনেও না শোনার ভান বলেন যে,আপনারা জেলা বর্ডারগার্ড এর সিও কে বিষয়টি জানান এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।