মোঃ কামাল উদ্দিন
মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
জামালপুরের মাদারগঞ্জ পৌর পাবলিক লাইব্রেরীতে বস্তাবন্দি বই, নেই সাইনবোর্ড ও বইপ্রেমী। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাদারগঞ্জ পৌর পাবলিক লাইব্রেরি’র ভিতরের বস্তাবন্দি হাজারো বই, সাইনবোর্ড না থাকায় পথচারী শিক্ষার্থীরা বুঝতে ও জানতে পারতেছে না ঘরটি কিসের। লাইব্রেরি টি দেখা শোনার দায়িত্বে ছিল মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি বেতন না পাওয়ার ফলে তিনি চাকরি ছেড়ে চলে যান বলে জানা গেছে। কলেজ শিক্ষার্থী ছাবিনা,মরিয়ম,খাদিজা ও ফরিদা জানান আমরা নিয়মিত এই রাস্তা দিয়ে কলেজে যাতায়াত করি রাস্তার পশ্চিম পাশে অবস্থিত ঘরটি কিসের তা বুঝতে ও জানতে পারছি না সাইনবোর্ড না থাকার ফলে। বালিজুড়ী পোস্ট অফিসের অফিস সহকারী বেনাহার জানান দীর্ঘ ১৫/২০ বছর আগে রাজু ভাইসহ আমরা কয়েকজন বই পড়তে আসতাম, ঐ সময় বই পড়ার একটা নেশা ছিল বর্তমানে হাতে মোবাইল পেয়ে বই পড়া ভুলে গেছে এবং লাইব্রেরি হারাচ্ছে পাঠকপ্রিয়তা। মাদারগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের সহ সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন জানান বই পড়া ছিল শখের পেশা। এক সময় শখ করে বই পড়তে আসতো লাইব্রেরিতে। গল্প,উপন্যাস, কাব্য,কবিতা ইত্যাদি বই পড়তো বইপ্রেমিরা। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা হাতে এন্ড্রুয়েট মোবাইল সেট পেয়ে লাইব্রেরিতে বই পড়া তো দুরের কথা ক্লাসের বই পড়েনা তারা। উপজেলা মির্জা কাশেম মর্ডাণ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম জানান মির্জা আবুল কাসেম পৌর পাবলিক লাইব্রেরিতে আমরা বন্ধুরা মিলে বই পড়তাম আনন্দ উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে। ঐ সময়ে কবিতা,গল্প,উপন্যাস,ছড়া কাব্য নানান বই পড়ার পাঠক ছিল বেশি এখন আর নেই কালের বিবর্তনে মানুষ বই পড়া ছেড়েই দিয়েছে প্রায় ।
মাদারগঞ্জ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান সাগর জানান মির্জা আবুল কাসেম পৌর পাবলিক লাইব্রেরিটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল, ভিতরের আসবাবপত্র গুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাওয়ার ফলে মাদারগঞ্জ পৌরসভার সুযোগ্য মেয়র মির্জা কবির সাহেব এর উদ্যোগে লাইব্রেরি’র ভবনের কাজ শেষ হলো পর্যায়ক্রমে সামনে মাটি ভরাট ও আসবাবপত্র সহ নতুন কিছু বইয়ের ব্যবস্থাও করবেন তিনি।
মাদারগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামিম আহম্মেদ দুদু জানান বই পড়ার এক সময় কদর ছিল এখন আর নেই, পাবলিক লাইব্রেরিতে বই পড়ার জন্য ভিড় করতো বইপ্রেমিরা। বর্তমানে বই পড়ার পাঠক নাই বললেই চলে। মাদারগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির জানান লাইব্রেরি’র জমি দাতা আমার বাবা মরহুম মির্জা আবুল কাসেম। মির্জা আবুল কাসেম পৌর পাবলিক লাইব্রেরি নামে সাইনবোর্ড করা হবে তার পূর্বে লাইব্রেরি’র সামনে নিচু জায়গা আছে সেখানে মাটি ভরাটের কাজ করা হলে পরিবেশ ও সুন্দর হবে। ভিতরের আসবাবপত্র সহ নতুন কিছু বই সংযোজন করা হবে।