যোগেশ ত্রিপুরা( রামগড় প্রতিনিধি)
২৫নভেম্বর শনিবার সকাল ১০:০০টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা রামগড় উপজেলাধীন ০১নং রামগড় ইউনিয়নে,০৪নং ওয়ার্ড,সোনাই আগা দায়ক- দায়িকা বৃন্দে পরিচালনায়- পুষ্প বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব ২০২৩খ্রি: অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এটি বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুষ্ঠান অন্যতম। এদিন ভিক্ষু সংঘকে চীবর অর্থাৎ বস্ত্র দান করা হয়। বৌদ্ধদের বিশ্বাস মতে সমস্ত দানের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এ চীবর দান।কঠিন চীবর দান উৎসব‘চীবর’ শব্দের অর্থ ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র। তবে ভিক্ষু সংঘ সাধারণত লাল ফুলের রঙের বস্ত্রই বেশি ব্যবহার করে, যা সাধারণ গৃহীদের পরিধেয় বস্ত্র থেকে পৃথক ও বৈচিত্র্যহীন।কঠিন চীবর দান প্রচলনের তাদের সুস্বাস্থ্য ও নীরোগ দেহের কথা চিন্তা করে রাজগৃহে বর্ষা বাস কালে বুদ্ধদেব চীবর অর্থাৎ পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করার অনুমতি দেন। গৃহীরা তাদের এ বস্ত্র দান করে। তবে সকল ভিক্ষুই চীবর পরিধান করতে পারে না; যারা ত্রৈমাসিক বর্ষাবাস সমাপ্ত করেছে কেবল তারাই চীবর ব্যবহার করতে পারে। প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে কার্তিকী পূর্ণিমার পূর্ব পর্যন্ত একমাস ব্যাপী এ চীবর দান অনুষ্ঠান পালিত হয়।
‘চীবর দান’ কথাটির সঙ্গে ‘কঠিন’ শব্দটি, যে দিন চীবর দান করা হবে সেদিনের সূর্যোদয় থেকে পরবর্তী সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সুতাকাটা, কাপড় বোনা, কাপড় কাটা, সেলাই ও রঙ করা, ধৌত করা ও শুকানো এ কাজগুলি সম্পন্ন করে উক্ত সময়ের মধ্যেই এ চীবর ভিক্ষুসংঘকে দান করতে হবে। এ ছাড়া আরও কিছু নিয়ম-কানুন আছে, যা দাতা এবং গ্রহীতা উভয়ের জন্যই পালন করা বেশ কঠিন। তাই এ অনুষ্ঠানের নাম হয়েছে কঠিন চীবর দান। শতবর্ষের দান কিংবা পৃথিবীর সকল প্রকার দান একত্র করলে তার যে ফল তা একখানি চীবর দানের ফলের ষোলো ভাগের এক ভাগও নয়। সুতরাং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বৌদ্ধদের জন্য চীবর দানের গুরুত্ব অপরিসীম। এ দান জন্ম জন্মান্তরে সুফল প্রদায়ী।প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে বছরে একবার মাত্র এ চীবর দান করা হয়। এদিন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ গৃহীরা ভিক্ষু সংঘকে চীবর দান করে। ভিক্ষু সংঘও তাদের বিনয়-বিধানের সকল নিয়ম অক্ষুণ্ণ রেখে পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে এ চীবর গ্রহণ ও ব্যবহার করে। কঠিন চীবর দানের বহুধা গুণের কথা স্মরণে রেখে প্রত্যেক বৌদ্ধ জীবনে অন্তত একবার হলে ও চীবর দান করার মানসিকতা পোষণ করে।তাই প্রত্যেক বৌদ্ধ ধর্মের দায়ক -দায়িকা গন জীবনে অন্তত একবার হলেও কঠিন চীবর দানে মহাফল জ্ঞান হয় সে মহাফলের আকাঙ্খায় সর্বসম্পত্তি সাধন সেই উত্তম কঠিন চীবর বিবিধ দানীয় বস্ত্র সহ দান করে।তাই কঠিন চীবর দানে পূন্য সম্পদ লাভ সম্ভব।