বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
গুমটো গরম মেঘের মাতলামিতে কয়েকদিন যাবৎ আবহাওয়ার তালমাতাল প্রভাব সাথে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের আভাস তো রয়েছেই।
সপ্তাহের শুরু থেকে কখনো মেঘ কখনো রোদ এই নিয়ে চলছে আবহাওয়ার বৈরী লীলা খেলা।
এদিকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বার্তার তথ্য সূত্রথেকে জানা গেছে বিশিষ্ট আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাসে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম তীব্র রূপ নিয়ে আঘাত হানতে পারে দেশের সুমদ্র উপকূলীয় এলাকা গুলোতে।
পার্শ্ববর্তী দেশ মধ্যপ্রদেশ অন্ধপ্রদেশ উড়িষ্যা পশ্চিমবঙ্গ সাথে বাংলাদেশের কক্সবাজার সেন্টমার্টিন দ্বীপ মোংলাও পায়রা বন্দর সহ দেশের সকল সমুদ্র উপকূল জুড়ে যার কারনে ওই সকল এলাকা গুলিতে সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
এবং মৎসাহরণকারী জেলেদের গভীর সমুদ্র থেকে ট্রলার নৌকা নিয়ে সমুদ্রের কুলবর্তী এলাকার কাছাকাছি থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে তার আগাম উপসর্গ হিসেবে মিগজাউম আঘাত হানার পূর্বের থেকেই গতকাল দিনের মধ্যোভাগ থেকে ভারতের চেন্নাই বিমানবন্দর সহ আশপাশ এলাকায় সমুদ্রের পানি বেড়ে বেশকিছু এলাকাতে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে সাথে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
এতে ওই সকল এলাকার জনজীবন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।
এদিকে দেশের দক্ষিণ বিভাগ খুলনা অঞ্চল সমুদ্র উপকূল এলাকা হলেও তেমন কোনো প্রভাব না পরলেও আজ সকাল থেকে আকাশে মেঘের ঘনঘটা সাথে থেমে থেমে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হচ্ছে এখন পর্যন্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
এবং আজ সকাল থেকে খুলনা জেলার কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি।
আবহাওয়ার এই রূপ প্রভাব আজ যেমন তেমন আগামী আরো দুই তিন দিন বজ্রসহ মুষলধারা বৃষ্টি হতে পারে।
সাথে মিগজাউম সমুদ্র উপকূলীয় এলাকাগুলোর কিছু কিছু স্থানে আঘাত হানতে পারে।
যা ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৮৫ মাইল পর্যন্ত গতিবেগ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে সমুদ্র সহ পার্শ্ববর্তী নদীর গুলোতে দেড় থেকে দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফলে উপকূলীয় এলাকা গুলোতে পানি ঢুকে ফসলি খেত তলিয়ে
ক্ষতি হতে পারে ধানসহ মৌসুমী ফসল শাকসবজির।
এদিকে রুপা আমন ধান কেঁটে কৃষকরা মাঠ থেকে ঘরে তুলতে এখনো সক্ষম হয়নি অধিকাংশ পাকা আমন ধান মাঠেই রয়েছে।
এমন অবস্থার মধ্যে যদি পানি বৃদ্ধিপায় তাহলে ফসলি জমির সাথে দক্ষিণ অঞ্চলের শত শত মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
এতে এলাকার ঘের মালিকদের পূর্বের থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী যা যা করণীয় তা করে মাছ সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা বঞ্চনীয়।
এ সকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা বিভাগীয় জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ ও বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কৃষি কর্মকর্তা।