খুলনা অফিস :
নির্বাচনে প্রার্থীরদের হয়ে প্রচার-প্রচারণা করার ক্ষেত্রে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের পারিশ্রমিক আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে খুলনা- ২ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা লিফলেট বিতরণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তার হয়ে ভোট প্রার্থনা করার জন্য প্রত্যক কর্মীদের টাকা আত্মসাৎ করেছে নগরীর ২৭ নাম্বার ওয়ার্ডের মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মহিলা কর্মী বলেন আমাদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে শেখ বাড়ি অর্থাৎ খুলনা -২ আসনের নৌকা প্রার্থী শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলেকে অধিক জনবল দেখানোর উদ্দেশ্যে আমাদের নিয়ে গেলে শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল উপস্থিত সকল কর্মীদের শুভেচ্ছা স্বরূপ ২ হাজার করে টাকা প্রদান করলে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে বিভিন্ন অজুহাত সেই প্রাপ্য টাকার অর্ধেক অংশ অর্থাৎ ১ হাজার টাকা কেটে রেখে কর্মীদের হাতে ১ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে ৩১ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় সেই সকল কর্মীদের পুনরায় সেখানে আবারও ডেকে নিয়ে গেলে দ্বারে দ্বারে ঘোরা নারীকর্মীদের পারিশ্রমিক হিসেবে পুনরায় ৫ হাজার করে টাকা হাতে তুলে দিলেও একই কৌশলে নগরী ২৭ নং ওয়ার্ড এর উল্লেখিত সেই দুই নেত্রী অসহায় দুর্বল শ্রেণী নারী-কর্মীদের হাত থেকে পুরো পাঁচ হাজার টাকা কৌশলগতভাবে তাদের আয়ত্তে নিয়ে নেয় অথচ এই শ্রেণীর অসহায় মাঠ পর্যায় কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ভোট প্রার্থনার মাধ্যমেই ভোট সঞ্চয় হয় ভোট ব্যাংকে।
অথচ দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেত্রীর লালসার কারণে প্রাপ্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত অসহায় কর্মীরা অভিযোগে আরও উল্লেখ থাকে যে প্রথম পর্বের ২ হাজার টাকা ভাগাভাগি করার ক্ষেত্রে গরি মসি ও তৃণমূল কর্মীদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সেখানে উপস্থিত থাকা জেলা ও মহানগর পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নজরে পড়ে।
এবং তাৎক্ষণিক বিষয়টি এমপি সালাউদ্দিন জুয়েল এর সহধর্মিনির নিকট জানানো হয়। ফলে ঘটনা টি তিনি আমলে নিয়ে উপযুক্ত বিচার হিসেবে ওই দুই নেত্রীকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দলীয় প্যাডে লিখিতভাবে একাধিক নেতা কর্মীদের স্বাক্ষর মতে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।
পরে অর্থ আত্মসাৎ কারী উল্লেখিত দুই নেত্রী দলীয় পদ ধরে রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলে অন্যান্য নেতা কর্মীদের সুপারিশ করে এমপি শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এর সহধর্মীনির নিকট গিয়ে হাতে পায়ে ধরে আকূতী মিনতির মাধ্যমে পদ ফিরে পাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করলে একপর্যায়ে তাদেরকে প্রাথমিক ক্ষমা করে দিতে এমন অন্যায় অপকর্ম আর করবে না তার লিখিত মুচলেকা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে দলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও ঊর্ধ্বতন সকল নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে একই ঘটনা। ৩১ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যার ঘটনার তথ্য বিবরণে আরো জানা গেছে যে কমিটির আহ্বায়ক অধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে অধিক কর্মী দেখানোর উদ্দেশ্যে একদিনের জন্য ১০০ টাকা করে ভাড়াটিয়া কর্মীদের নিয়ে হাজির হলে তাদেরকে দল তথা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা দিলে পুরো ৫ হাজার টাকাই তাদের হাত থেকে নিয়ে তাদের নিঃস্ব অবস্থায় রাস্তায় ছেড়ে দেওয়ার
অভিযোগ করে বঞ্চিত কর্মীরা।
আর এই ধরনের মধ্যসত্ত্বভোগী নেতাকর্মীদের জন্য দলের বদনাম হচ্ছে এটা আমলে নেয়া উচিত দলের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের।