মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল, প্রতিনিধিঃ
গত কয়েকদিন বরিশালে তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জনজীবন। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে পেশাজীবি মানুষ। তবে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শুরু শিশু ও বৃদ্ধরা।প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ২৪ ডিসেম্বর ১০ দশকিম ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নগরীর বাসিন্দা মোঃ আঃ হামিদ বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যেতে হয়। প্রায় ৯ টা পর্যন্ত কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা থাকে। তারপরও কাছে যেতে হয়। বাধ্য হয়ে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। তবে এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বাচ্চারা। এত শীতের মধ্যেও স্কুলে যাচ্ছে তারা।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা শফিক হাওলাদার বলেন, বরিশালে ২-৩ দিন ধরে ঠান্ডা পড়ছে। দুপুর পর্যন্ত সূর্য দেখা যায়নি। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসে ঘরের বাহিরে থাকতে খুব কষ্ট হয়।
রিকশা চালক অহিদ বলেন, জীবিকার তাগিদে ঠান্ডা উপেক্ষা করে সকালে রিকশা নিয়ে নামতে হয়। ঘরে শুয়ে থাকার উপায় নেই। একদিন ঘরে বসে থাকলে রান্না চলবে না। তাই বাধ্য হয়েই সকল শীত উপেক্ষা করে বের হই। গত কয়েকদিনের মতো এতো ঠান্ডা এর আগে পড়েনি।
এদিকে শীতের প্রকোপে ঠান্ডা জনিত রোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাঁচি কাশি সহ কোন্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। অপরদিকে শীতের কারনে সারাদিনই গরম পোশাক পরে মানুষকে সকল ধরনের কাজকর্ম করতে হচ্ছে।
এদিকে বরিশাল আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা মাসুদ রানা রুবেল দেশ চ্যানেলকে জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারনে মেঘ বিরাজ করছে। তবে লঘুচাপ কেটে গেলে আগামী ২ -৩ দিন শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। ২ -৩ দিন অতিরিক্ত কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও জানুয়ারি মাসের মধ্যেভাগে ও জানুয়ারি মাসের শেষ ভাগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা জানিয়েছেন বরিশালের আবহাওয়া অফিসের এ পর্যবেক্ষক।