বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
যদিও সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতক জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের নির্বাচিত সরকার তবুও তাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে পুনরায় এদেশেরই জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে স্বাধীনতা স্বপক্ষের দল আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে মন্ত্রিপরিষদের শপথ নিয়েছেন।
তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে তাদের দলীয় ইস্তেহারের দ্বিতীয় শর্তে বড় চ্যালেঞ্জিং হিসেবে জনগণের উদ্দেশ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর ওপর আলোকপাত করে তা দেশের সকল শ্রেণির মানুষদের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের মধ্যে রাখার ব্যাপারে নির্বাচনের ইস্তেহারের দ্বিতীয় এবং উল্লেখ যোগ্য পদক্ষেপ এর কথা উল্লেখ করে ইস্তেহার ঘোষণা করেছিলো দলটির সর্বোচ্চ নিতি নির্ধারক মহল।
আর সেই লক্ষে প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ছুরে দিয়ে নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্যদের উদ্দেশ্য দলীয় সভানেত্রী এবং সংসদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দ্রব্যমূল্য হবে দেশের সাধারণ মানুষদের দিক লক্ষ্য রেখে সহনীয় পর্যায়ে যা খেয়ে সাধারণ মানুষ জীবন ধারন করবে অতি সহজভাবে।
তবে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উল্টো পালে হাওয়া লাগিয়ে কথা বলছে ব্যবসায়ী মহল তারা যেন সরকারের কোনো ঘোষণা ও কথাকে তুয়াক্কা না করে দেশের সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথে প্রতিটি নিত্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে চাউল কেজি প্রতি পাঁচ থেকে আট টাকা বয়লার মুরগি কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা গরুর গোস্ত ৫০ থেকে ৭০ টাকা পাশাপাশি সকল ধরনের মাছের দাম বেড়েছে অনেকটা আলুর ভরা মৌসুম থাকা সত্ত্বেও তা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা পেঁয়াজের স্বাভাবিক সরবরাহ পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকা সত্ত্বেও কেজি হাঁকিয়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা ৮০ থেকে ১শত টাকা। এক্ষেত্রে বাজারের অনেক পাইকার ব্যবসায়ীরা বলছে দেশের বড় বড় আমলা তান্ত্রিকরা ব্যবসা পরিচালনার মূল চাবিকাঠি তারা যদি সঠিক অবস্থানে থেকে ব্যবসা করতে পারে তাহলে আমরা ও তাদেরই ধারাবাহিকতায় সকল ধরনের পণ্য সরবরাহের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে সাধারণ মানুষদের সুবিধা দিতে পারব।
আর তারা যদি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে অন্তর কোন্দলের নীল নকশায় ব্যবসা করে তাহলে সেক্ষেত্রে আমরা মধ্যম অবস্থানের ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে বড় অসহায়।
তবে মধ্যস্বত্ব ভোগী ব্যবসায়ীদের
এ হ্যানো মানসিকতার ওপর ভিত্তি করে সরকার প্রধান বলেছেন দেশের আমলা তান্ত্রিক ব্যবসায়ীদের সকল অজুহাত পাত্তা না দিয়ে সরকারের কঠোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রব্যমূল্য যে কোন কৌশলে নিয়ন্ত্রণে রাখা বর্তমান আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরো বলেন দেশের কোন অসৎ ব্যবসায়ী যেন রমজান মাসকে উদ্দেশ্য করে কোনো ধরনের পণ্যের তারল্য সংকট দেখাতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে যত বড় শক্তিশালী অসাধু কালো বাজারী সিন্ডিকেট হোক না কেন তা ভেঙে সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রেখে আসন্ন রমজান মাসে মুসল্লিরা যেন কোনক্রমে রোজা রাখতে কষ্ট না পায় সেদিকে কঠোর নজরদাড়ি রেখে বাজার মনিটরিং করতে সরকারের ভোক্তা অধিকার সংস্থাকে কঠোর থেকে আরও কঠোরতম অবস্থানে থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ।
কারণ প্রতিবছর রমজান মাস আসলেই ব্যবসায়ীরা তাদের অধিক মুনাফার লক্ষ্যে দরিদ্র মানুষের কথা একেবারে ভুলে গিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার লক্ষে সকল দ্রব্যমূল্যের ওপর ইচ্ছামতন লাগামহীন দামে উপর্যপুরী কষাঘাতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষদের নাভিশ্বাস উঠিয়ে ছাড়ে।
তবে বর্তমান সরকারের সর্বপ্রথম বড় চ্যালেঞ্জ সকল প্রকারের নিত্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রেখে সাধারন মানুষের পাশে থাকা।
আর এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমাদের যত কঠোর অবস্থানে যাওয়া লাগে প্রয়োজনের সেই কঠোর পর্যায়ে গিয়ে কালোবাজারী সিন্ডিকেট প্রতিহত করব ইনশাল্লাহ।
কারণ দেশের সাধারণ জনগণেরাই আমাদের ভোট দিয়েছে আর তাদের ভোটের মাধ্যমেই পুনরায় আমরা সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছি। তাই এবারের সরকার জনগণের সরকার ফলে দেশের সকল শ্রেণির জনগণদের সাথে নিয়ে সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অগ্রগতি অব্যাহত রাখবে।
পাশাপাশি দেশ থেকে ক্ষুধা দারিদ্র নিরক্ষরতা মুক্ত করে দেশকে স্বাবলম্বী বেকার মুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে বহির্বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে সক্ষম হতে হবে।
আর তারই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এবারের পথচলা দেশ থেকে দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর কালো বাজারী মাদক কারবারি ভূমি দস্যু চাকরি দেওয়ার নামে ঘুষ নিয়ে প্রতারণা এ সকল অদৃশ্য কালো ছোবলের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে বর্তমান সরকার কঠিন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আমরা দেশের উন্নয়ন করেছি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছি। আগামী দিনেও দেশের সকল ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড হবে জনগণের জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে।
এ লক্ষ্যে নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের সকল মন্ত্রীদের স্পষ্ট ভাষায় ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন আশা করি এবারের মন্ত্রী পরিষদ হয়েছে স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত নিঃস্বার্থ ব্যক্তিত্ব দ্বারা গঠিত। পাশাপাশি জানারা দেশকে ভালোবেসে দেশের জনগণের জন্য উন্নয়নের জন্য কাজ করবে কেবল তানারা এই মন্ত্রী পরিষদের ঠাঁই পেয়েছেন।
আশা করি আগামী পাঁচ বছর সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বের কাছে ইতিবাচক ভাবে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
সাথে দেশের সকল বিরোধী শক্তি দের সমালোচনার উর্ধ্বে থেকে দেশ পরিচালনা করার দক্ষতা অর্জন করে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষদের আওয়ামী লীগের এক বৃক্ষের নিচে এনে আশ্রয় দিয়ে তাদের সকল সুখ দুখের ভাগীদার হয়ে পাশে থেকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করাই থাকবে আওয়ামী লীগ সরকারের অবিচল লক্ষ্য এবং দেশ-বিদেশের কোন আপোষ শক্তি দেশ ধ্বংসের অবলীলায় মাথা চাড়া দিয়ে না দাঁড়াতে পারে সেদিকে চোখ কান খোলা রেখে সকলকে নিষ্ঠার সাথে দেশ পরিচালনায় এগিয়ে আসতে হবে।
