আমিরুল ইসলাম পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
গত ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে পঞ্চগড় জেলা জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা এর জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৪ টায় পঞ্চগড় জেলা জাগপা অফিসের সামনে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চগড় জেলা জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপা সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান। প্রধান বক্তা ছিলেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব জাগপা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, গাইবান্ধা জেলা জাগপা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা জাগপা সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইমরুল কায়েস রুপম সহ নেতৃবৃন্দ।
জনসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল সহ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘৭ জানুয়ারি জনগণের ভ্যাট ও টেক্স এর দুই হাজার কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচনের নামে আ.লীগ দলীয় সম্মেলন করেছে। শেখ হাসিনাকে দলী সভাপতির যায়গায় প্রধানমন্ত্রী বলেন। সে দিন আমরা কোনো নির্বাচন দেখতে পাইনি, নির্বাচনের কেন্দ্র গুলো খালি ছিলো। সেদিন দেশের সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাননি, দেশের ৯৬% মানুষ ভোট বর্জন করেছে।’
তিনি আরো বলেন, “আজকের দিল্লির পুতুল সরকার শেখ হাসিনা বিরোধী দলে থাকাকালীন বলেছিলেন কোনো দলের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি যে দিন ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন সেদিন তিনি তার নিজের কথা ভুলে গিয়েছিলেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করলেন। দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনের ব্যাবস্থা করলেন এবং জোর পূর্ব নির্বাচন করলেন যাতে করে বাংলার মাটিতে আর সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না হয়।”
রাশেদ প্রধান বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য একটি কলঙ্কিত দিন, ৭ জানুয়ারি আমরা জানি ফেলানী হত্যা দিবস। সেই দিন ফেলানীকে হত্যা করে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে ফেলে রেখেছিল। আমাদের জন্য লজ্জার দিন, আমাদের জন্য বেদনার দিন। তিনি সকলেকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকলহ আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানান। পঞ্চগড় জেলার চা শিল্প, চিনিকল ও পাথর উত্তল নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাসদেন।