রাজু আহমাদ, শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি:
কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে পুরো দেশ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন। আর এই ঠান্ডা থেকে রক্ষা ও একটু উষ্ণতার জন্য মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষ ছুটছে গরম পোশাক কিনতে। শীতের কাঁপন থেকে রক্ষা পেতে সকলে ছুটছেন শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতে। নিম্ন আয়ের মানুষের বাজার হিসেবে বেশ পরিচিত বাজারের ফুটপাতের দোকানগুলো বেশ জমজমাট। এই শীতে তাদের সাথে ভিড় বেড়েছে মধ্যবিত্তদেরও। ফলে যেমনটি বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা তেমনি বিক্রি বাড়ায় খুশি বিক্রেতারা।
শনিবার বিকালে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার বিভিন্ন বাজারের পাশের ফুটপাতে দেখা গেছে দোকান সাজিয়ে বসেছে শীতবস্ত্র বিক্রেতারা। পাশাপাশি গরম কাপড় কেনাকাটায় জমে উঠেছে ফুটপাতের দোকানগুলো।অনেকে ভ্যানে করে শীতের পোশাক বিক্রি করতেও দেখা গেছে অনেক পোশাক বিক্রেতাকে।পাশাপাশি উপজেলার আড়পাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আড়পাড়া সরকারি হাইস্কুল মাঠে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মত।সারাবিশ্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে শীতের পোশাকেরও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতারা তাদের সাধ্যমতো স্বল্পমূল্যে শীতের পোশাক কিনতে দরিদ্র শ্রেণীর পাশাপাশি মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তরাও ভিড় করছে ফুটপাতের শীতবস্ত্র বিতানগুলোতে। তবে বেশিরভাগ নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের ভিড় বাড়ছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। আবার অনেকে গাড়িতে চড়ে ফুটপাতের দোকান থেকে গরম কাপড় কিনছেন।মার্কেট-বাজার ঘুরে দেখা যায়- শিশু, নারী, পুরুষসহ সব বয়সের মানুষের জন্য শীতের পোশাক রয়েছে এই দোকানগুলোতে। জ্যাকেট, লংকোর্ট, উলের পোশাক, শর্ট জ্যাকেটসহ সব ধরনের পোশাকই পাওয়া যাচ্ছে এসকল দোকানগুলোতে।কাপড় বিক্রেতারা বলেন কিছুদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহের কারনে প্রচন্ড শীত তাই বেঁচা কেনা ভালো হচ্ছে।১৫০ থেকে ৫০০টাকা দামের সকল ধরনের পোশাক বিক্রি করি।পাশাপাশি ক্রেতা নাজমুল হাসান ও আয়ুব আলী বলেন, ২৩০ টাকা দিয়ে একটি জ্যাকেট ও ১০০ টাকা দিয়ে একটি ফুলহাতা গেঞ্জি নিয়েছে। দোকান থেকে হলে হাজারের উপরে পড়তো। এখান থেকে ৩৩০ টাকা দিয়ে দুটি কাপড় নিতে পারলাম। বড় দোকানে গিয়ে হাজার টাকা কেন খরচ করব।”আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায় শৈত্যপ্রবাহের কারনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।