নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
সাদা রেজাল্ট সিটে শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষরে শেষ হলে গেল নিয়োগ পরীক্ষা। পরবর্তী প্রতিষ্ঠানের সুপার সুবিধামতো পরীক্ষার লিখিত, মৌখিক ও পরীক্ষার নম্বর ইচ্ছামতো বসিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করবেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা খড়খড়িয়া, বিনোদপুর, কুসুম্বী দাখিল মাদ্রাসায় ২টি নিয়োগ পরীক্ষায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার খড়খড়িয়া, বিনোদপুর, কুসুম্বী দাখিল মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও আয়া পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইতিপূর্বে ৩বার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার কারণে ৪র্থ বার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং তারিখে ৯টায় সময় নির্ধারন করা হয়। নির্ধারিত দিনে ১০.২ মিনিট নিয়োগ কমিটির সদস্য তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহকারি পরিচালক তোফায়েল আহমেদ সাদা রেজাল সিটে স্বাক্ষর করে চলে যান। সাদা রেজাল্ট সিটে প্রতিষ্ঠানের সুপার আব্দুল হামিদ লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক, ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর বসান। এমনকি একটি ভিডিও ধারন করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ৩টি সাদা রেজাল্ট সিটে শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর রয়েছে, তবে সাদা রেজাল্ট সিটে সভাপতি, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সদস্যের স্বাক্ষর নেই।
খড়খড়িয়া, বিনোদপুর, কুসুম্বী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হামিদ বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হয়নি। ডিজির প্রতিনিধি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষর দিয়ে চলে গেছেন। এখন নম্বর বসিয়ে সিট তৈরী করা হবে।
খড়খড়িয়া, বিনোদপুর, কুসুম্বী দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মোবারক হোসেন, যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করা হয়েছে। নিয়োগে আমার ভাতিজার চাকুরী হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, সাদা সিটে স্বাক্ষর আমার ও ডিজির প্রতিনিধির। বিষয়টি প্রকাশ করবেন না। আমি প্রতিষ্ঠানের সুপার ও সভাপতি সাথে কথা বলিয়ে দিচ্ছি। আপনাদের সম্মানি পেয়ে যাবেন।