বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ সহ আরো কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সম্মিলিত আয়োজনে মানববন্ধন এবং এক বর্ধিত সভার মাধ্যমে দেশের সকল ধরনের অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি ও ধাপে ধাপে গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বক্তারা বলেন
একদিকে যেমন সরকার অসহায় দেশের আমলাতান্ত্রিক কালোবাজারী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে তেমন আবার চরম অসহায় সরকারের নেতিবাচক সিদ্ধান্তের কাছে দেশের সাধারণ জনগণ। তার মূল কারণ হিসেবে দেশের এক এক মন্ত্রণালয় থেকে এক এক সিদ্ধান্তে হতাশা আর ব্যাঞ্জোতায় ধূসর ভবিষ্যৎ এর দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে সকল শ্রেণীর মানুষদের মাঝে।
এদিকে প্রতিনিয়ত রাত পোহালেই সরকারের মন্ত্রী পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের কর্তাদের ঘোষণায় দেশের সকল গণমাধ্যমে উঠে আসে ফের বাড়ছে কোনো না কোনো সাধারণ মানুষদের খেয়ে বেঁচে থাকা জীবন ও জীবিকার তাগিদের নির্ভরশীল নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল পণ্যের দাম।
সম্প্রতি তেমনই ঘটনা ঘটেছে তেল বাজারীদের তেলেসমাতিতে সাথে আসন্ন সিয়াম সাধনার মাস রমজান কে লক্ষ্য রেখে মুসল্লিদের ইফতারের সকল ধরনের পণ্যের ওপর মূল্যর কষাঘাত হাকিয়েছে দুই থেকে তিনগুন। সাথে ধাপে ধাপে ক্রমান্বয়ে গ্যাস বিদ্যুতেরও মূল্যবৃদ্ধির অমূলক চাপ নতুন করে চেপে বসছে কাঁধে আর এতে করে নাভিশ্বাস উঠছে দেশের নিন্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের আয়ের উপর খরচের সামঞ্জস্য না থাকায় চোখেমুখে দেখছে অমানিশা ধূসর অন্ধকার ফলে প্রতিটি সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দারিদ্র্যতায় পারিবারিক কলহ লেগেই আছে আর এতে করে অনেক ক্ষেত্রে ঘটছে অভাবের তাড়নায় পারিবারিক বিচ্ছেদ এমনকি খুদা যন্ত্রণায় আত্মহত্যার মতন ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
তারপরও চলছে সিন্ডিকেট পায়তারা ফলে সামান্য সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে দেশের সাধারণ ভোক্তারা
সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী শুল্ক প্রত্যাহার করে ভজ্য সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলে ও মজুদ ব্যবসায়ীরা না কমানোর পক্ষে এখন পর্যন্ত তাদের সিদ্ধান্তে তানারা রয়েছে অনর
ফলে মোটেও নড়েচড়ে বসছে না সকল ধরনের মজুদ ব্যবসায়ীরা ।
অথচ বিশ্ববাজারের তথ্যসূত্র থেকে জানা গেছে অন্যান্য দেশে আমাদের বাংলাদেশের তুলনায় সকল ধরনের ভোজ্য তেলেসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির
দাম অনেকাংশেই কম।
আর এ তথ্য জানতে বাকি নাই দেশের শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের কোন শ্রেণীর ভোক্তাদের।
অথচ সরকার চতুর্থ বারের মতন দ্বাদশ সংসদের ক্ষমতাভার গ্রহণ করে মন্ত্রী পরিষদ গঠনের সাথে সাথেই ঘোষণা দিয়েছিল দেশের সকল ধরনের নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রেখে ক্ষুদার্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াবেন কিন্তু সরকার তানার মন্ত্রী পরিষদের ঊর্ধ্বতনকর্তাদের নিয়ে বারবার পদক্ষেপ ও চেষ্টা চালিয়েও কোন সুফল দিতে পারেনি দেশের সাধারণ জনগণদের।
পাশাপাশি শ্রেণীবিভেদে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে এবং ঈদের পর আরও এক ধাপ বৃদ্ধি পাবে সে ব্যাপারে অগ্রিম বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন বিভাগ অথচ যে অজুহাতে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে সেটা হল দেশজুড়ে নিরবিচ্ছন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে কিন্তু তার নমুনা ঠিক তার বিপরীত কারন আমরা দেখতে পাচ্ছি গ্রীষ্মের শুরু থেকেই লোডশেডিং এর আওতায় দেশ।
এদিকে রমজান মাসকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা দাম হাঁকিয়েছে বিদেশি খেজুর, ছোলা, চিনি সাথে দল বেধেছে পিঁয়াজ, রসুন, আদা, আলু। অপরদিকে ১২ কেজি এলপি গ্যাস বোতলের দাম সরকার নির্ধারিত মূল্য ১ হাজার ৪৪৮ টাকা নির্ধারণ করলেও স্থানীয় পর্যায়ের ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট বেধে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করছে ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা কোন কোন ক্ষেত্রে এসকল বিক্রেতারা দাম বাড়ানোর পায়তারার লক্ষ্যে বাজারে বোতল জাতএল পি গ্যাসের তারুল্য সংকট দেখিয়ে ভোক্তাদের অযথা হয়রানি করছে।
বক্তারা সরকারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আরো সমালোচনা করে বলেন দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিদের ব্যবহৃত রাজকীয় বেশ কিছু মুখ্য পণ্যের মূল্য হ্রাস পেলে ও বৃদ্ধি পেয়েছে শিশু খাদ্য মানুষের বেঁচে থাকার তাগিদে অসুখ-বিসুখের ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ইনজেকশন ট্যাবলেট ও বিভিন্ন ধরনের সিরাপের
তার মধ্যে অতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে গ্যাসের ট্যাবলেট গ্যাসের সিরাপ বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ও ব্যথা নাশক ঔষধের সাথে রয়েছে অপারেশন সামগ্রী। মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মোটেও বাদ পড়েনি স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে ইরেজার, সপ্নার, পেন্সিল,খাতা, কলম, গাইড বই শিশুদের প্লে ক্লাস থেকে শুরু করে স্ট্যান্ডার্ড অন পর্যন্ত সকল প্রকার বই-পুস্তকের এতে করে লেখাপড়া শিখাতে ও পিছু পা হতে হচ্ছে অনেক অভিভাবকদের মনে অনেক কষ্ট নিয়ে। যার কারনে দেশে অশিক্ষার হার বৃদ্ধি পাবে এতেও অমূলক কিছু নয়।
অতএব দেশের সাধারণ জনগণ দ্রব্যমূল্যের অগ্নীলেলিহানে দগ্ধীভূত হচ্ছে সর্বক্ষণ ছোট্ট একটি সংসার চালানোর ক্ষেত্রেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলানোর জো নাই কারো।
আবাসস্থান চিকিৎসা খরচ সন্তানদের লেখাপড়া সংসার চালানোর সাবেকের তুলনায় দ্বিগুণ বাড়তি চাপ সব মিলে এক বিভীষিকাময় জীবন পার করছি আমরা। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের বিশেষ বক্তাদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন খুলনার জনমানুষের পাশে থাকা সামাজিক সংগঠনের উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু নেতাকর্মীগণ।