বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
বাংলাদেশের প্রানপুরুষ বাঙালী জাতির অহংকার এদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানে বিশ্বকম্পিত বজ্রকন্ঠের বিশ্বসমাদ্রিত ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ আজ।
আর আজকের এই দিনকে চিরঅম্লানে স্বরনে রেখে বাঙালি জাতী সারা দেশে যথাযথ মর্যাদার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে আর তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে কেসিসি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এর সভাপতিত্বে নগরীর কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তাবক অর্পণ করে দিনটির শুভ সূচনা করেন।
এ সময় সভাপতি তানার বক্তব্যয় বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু ৭ই মার্চে বজ্রকণ্ঠে বক্তব্য দেয়নি তার আগেও বিশ্বকম্পিত অনেক ভাষণের মাধ্যমে বাঙালিকে পুনর্জীবিত করে যুদ্ধ মুখী করেছেন এবং বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন আমরা বাঙালি বাংলাদেশ আমাদের দেশ আমাদের অস্তিত্ব আমাদেরই ভূখণ্ড এদেশের প্রতিটি মাটি কণা আমাদের রক্ত হৃদপিণ্ড দিয়ে হলেও রক্ষা করব এদেশের মাটিতে ভিনদেশের পতাকা উড়তে দেওয়া হবে না বাংলার আকাশে বাতাসে উড়বে সবুজের বুকে লাল রক্ত খচিত পতাকা।
এদেশে ভিনদেশী কোন কর্তাদের মোড়ল গিরির করতে দেওয়া হবে না এদেশের আকাশ বাতাস ধূলিকণা এবং তৃণতে মিশে আছে ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদদের রক্ত।
এদিন লাখো লাখো মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্র কণ্ঠে ঘোষণা করেন রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭১ এর ৭ই মার্চের দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণের পরবর্তীতে বাঙালি জাতির রক্ত টগবগিয়ে ওঠে এবং স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজ মন্ত্র হয়ে পড়ে একইভাবে এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয় জাতির সংস্কৃতি পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে।
এসময় তিনি আরো বলেন মূলত বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের আহবানে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাঙালি ২৫ মার্চ কাল রাতের দেশের সূর্য সন্তানদের পাক বাহিনীরা নৃশংস হত্যা গণহত্যার পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
তারপর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর দেশ বিজয় অর্জন করে স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ বাংলাদেশ হিসেবে সারা বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
এ সময় তিনি দেশের নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন ৭ই মার্চের ইতিহাস বরো করুন ইতিহাস, এই ইতিহাস বাঙালি জাতির শিহরণ জাগিয়ে দেওয়া ইতিহাস বাঙালি জাতি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সিংহের গর্জনে ঝাঁপিয়ে পড়ার ইতিহাস তাই আজও সেই ইতিহাস সাক্ষী দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অকৃত্রিম দেশ প্রেম আর পাকিস্তানি পরা শক্তির বিরুদ্ধে বারবার আন্দোলন সংগ্রাম করে অবশেষে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ কে স্বাধীনতা অর্জন করে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে আজ আমরা বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারি আর এই অবদান একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবেরই।
পরে সভাপতির বক্তব্য শেষে নগরীতে একটি বর্ণাঢ্য রেলি বের হয় এবং র্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে একই জায়গায় এসে সমাপ্তি হয়।