রুপন চাজমা বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৬নং সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম সাজেকে ২০হাজার পাহাড়ি জনগোষ্ঠী পরিবার স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। দুর্গম সাজেক ইউনিয়নের পাহাড়ি জনগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের চাকমা, মারমা, পাংখুয়া এবং ত্রিপুরা প্রায় ২০হাজার পরিবারের বসবাস। এ পাড়ায় নেই কোনো চিকিৎসার সুব্যবস্থা।
মাতৃকালীন, শিশু, বৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যজনিত সেবা নিতে দুর্গম পাড়া থেকে পায়ে হেঁটে, অথবা নৌকাযোগ প্রায় ৩০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বাঘাইহাট কিংবা মাচালং স্থানীয় ফার্মেসিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। আবার বড় ধরনের কোনো সমস্যা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে আরো ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। সেবা নিয়ে ইচ্ছা করলেও কেউ একদিনে বাড়িতে ফিরতে পারে না।
সাজেক ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা জানান, দুর্গম আমাদের এই সাজেক ইউনিয়নে স্বাস্থ্যসেবার জন্য নেই কোনো সরকারি বা বেসরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক। আমরা সব রকমের স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই আমাদের ইউনিয়নে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি।
বাঘাইহাট ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দয়াধন চাকমা ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সুমিতা চাকমা বলেন, গর্ভবতী মহিলা বা বৃদ্ধ লোক হঠাৎ করে যদি কোনো অসুখে পড়ে যায় তাহলে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার জন্য তাদেরকে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে পারি না। কারণ উঁচু-নীচু পাহাড় বেয়ে এইসব রোগীদের নেওয়া কষ্টসাধ্য। এই মুহূর্তে এই দুর্গম এলাকায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা অতীব জরুরি। যাতে এলাকাবাসী অন্তত প্রাথমিক সেবাটুকু পায়।
নাম প্রকাশের অনিশ্চুক এক জন প্রতিনিধি দেশ চ্যানেল বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি এক স্বাক্ষাতকারে বলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হচ্ছে সাজেক ইউনিয়ন এখানে দরকার একটি হাসপাতাল, কিন্তুু এখানে নিমার্ণ করা হয়েছে বিলাস বহুুল মসজিদ অথচ সেখানে একটি মুসলিম পরিবারের সদস্য ও নেই বলে মন্তব্য করেন এই জন প্রতিনিধি।